বিশ্বসেরা ১০ সিইও, ফাইটার প্লেন, কিবোর্ডিষ্ট, কার্টুনিস্ট ও উদ্যোক্তা




বাঁচতে হলে জানতে হবে, তো আসুন আমরা জেনে নেই বিশ্বসেরা ১০ সিইও, ফাইটার প্লেন, কিবোর্ডিষ্ট, কার্টুনিস্ট, উদ্যোক্তা  সম্পর্কে। এ সব তথ্য শুধুজ্ঞানের ক্ষুধা মিটাবে না, মিটাবে আপনার কৌতূহলের নেশা। এসব তথ্য থেকে
আপনি অনেক কিছুই জানতে পারবেন, কষ্ট করে বার বার এসব প্রয়োজনে ইনসাইক্লোপিডিয়া অব ব্রিটানিকা পড়তে হবেনা।

বিশ্বসেরা ১০ তরুণ সিইও

মার্ক জুকারবার্গ 
http://www.therichest.com/wp-content/uploads/Mark-Zuckerberg.jpeg
প্রতিষ্ঠানের নাম ফেসবুক। বয়স ২৬। মোট সম্পদের পরিমাণ ৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০৪ সালে মার্ক জুকারবার্গ নামের এক তরুণ হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বসবাস কক্ষে বসে তৈরি করেন এই সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের সাইট ফেসবুক। মানুষের জীবন পদ্ধতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে  দিয়েছে এই ওয়েবসাইটটি। ফেসবুকের বর্তমান ব্যবহোরকারীর সংখ্যা ৫০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। ফেসবুকের কল্যাণে পৃথিবীর সবচাইতে কমবয়সী বিলিওনিয়ারের খাতায় নাম লেখান জুকারবার্গ। ২০১০ সালে ফেসবুকের মূল্য দাড়ায় ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকেই ভবিষ্যত দ্রষ্টা মার্ক সরাসরিই চ্যালেঞ্জ করেছিলেন মানুষের যোগাযোগ পদ্ধতিকে। আর সেই চ্যালেঞ্জেই তিনি দারুণভাবে সফল। ফেসবুক যতটা  কম সময়ে মানুষের সামাজিক যোগাযোগে পরিবর্তন এনেছে, এত কম সময়ে কোন প্রযুক্তি তা দিতে পারেনি।  আর তাই ২০১০ সালে ‘পারসন অফ দ্য ইয়ার’ হিসেবে টাইম ম্যাগাজিনের স্বীকৃতি পান মাত্র ২৬ বছর বয়সী জুকারবার্গ।
 অ্যান্ড্রু মেসন
http://assets.nydailynews.com/polopoly_fs/1.1389360!/img/httpImage/image.jpg_gen/derivatives/landscape_635/groupon-competition.jpg
প্রতিষ্ঠানের নাম গ্রুপন। বয়স ৩০। মোট সম্পদের পরিমাণ ৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অ্যান্ড্রু মেসন প্রতিষ্ঠিত গ্রুপনের যাত্রা শুরু ২০০৮ সালে এবং মাত্র দু’ বছরেই  হয়ে ওঠে কর্পোরেট বিশ্বের সবচেয়ে কম সময়ে বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের সূচক ছুয়ে ফেলা প্রতিষ্ঠান। গ্রুপন এরই আশা করছে ২০১৩ সালের শেষে তাদের রেভিনিউ ২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। গ্রুপনকে কিনে নেওয়ার জন্য গুগল ৬ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলো; কিন্তু অ্যান্ড্রু সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। অ্যান্ড্রু নিঃসন্দেহেই অনলাইনে মানুষের কেনাকাটা এবং বাণিজ্যের লেনদেনের ধারণাকে আমূল পাল্টে দিয়েছেন। আর তাইতো প্রতিদিন হাজারো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যিক সমস্যাগুলো সাফল্যের সঙ্গেই সমাধান করছে এই অনলাইন প্রতিষ্ঠানটি।
 ম্যাট মুলেনওয়েগ
http://static.guim.co.uk/sys-images/Technology/Pix/pictures/2007/10/10/Mullenweg460x276.jpg
 ম্যাট মুলেনওয়েগের প্রতিষ্ঠানের নাম ওয়ার্ডপ্রেস। বয়স ২৬। মোট সম্পদের পরিমাণ  ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
 যারা নিয়মিত ব্লগার তবে তাদের কাছ থেকে একটা ধন্যবাদ ম্যাট মুলেনওয়েগের অবশ্যই প্রাপ্য। অনলাইন ব্লগিং এর সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ডপ্রেসের শুরু এই মুলেন ওয়েগের হাত ধরেই। ২০০৩ সালে শুরু হওয়া ওয়ার্ডপ্রেসকে মুলেনওয়েগ পুরোপুরি চালু করেন ২০০৫ সালে। আর তখন থেকেই লাখো অনলাইন ব্যবহারকারীদের জন্য ব্লগিং এর অন্য জগত খুলে দেন তিনি। অনলাইনে সহজতম উপায়ে ব্লগিং এর অন্যতম পথপ্রদর্শকই বলা যায় তাকে।
 রায়ান অ্যালিস এবং অ্যারন হাফটন 
প্রতিষ্ঠানের নাম আইকনট্যাক্ট। বয়স ২৬ বা ২৭। মোট সম্পদের পরিমাণ ৪২ মিলিয়ন ডলার। ২০০৩ সালে রায়ান এবং পল মিলে আইকনট্যাক্ট শুরু করেন। ইমেইল মার্কেটিং এবং ক্ষুদ্র ব্যবসা ম্যানেজমেন্টের এই ব্যবসা তারা শুরু করেছিলেন গুগলের অ্যাডওয়ার্ডস ভিত্তি করে। পরে এই প্রতিষ্ঠানটির ক্রেতা দাঁড়ায় ৬৩ হাজারেরও বেশি।
 গুরুবক্স চাহাল
প্রতিষ্ঠানের নাম জিওয়ালেট। বয়স ২৮। মোট  সম্পদের পরিমাণ  ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি। গুরুবক্স চাহাল ২০০৯ সালে জিওয়ালেট প্রতিষ্ঠা করেন। সোশ্যাল মিডিয়া কারেন্সি প্ল্যাটফর্মের এই সার্ভিসটি ১ বছর না পেরুতেই ১২ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি আয় করে। জিওয়ালেটের আগে তৈরি করা দুটি অ্যাড নেটওয়ার্ক বিক্রি করেন ৪০ মিলিয়ন এবং ৩০০ মিলিয়নেরও বেশি দামে। রেডিয়ামওয়ান র্ব্র্যান্ডের নতুন অ্যাড নেটওয়ার্ক খুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাড নেটওয়ার্ক হিসেবে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন গুরুবক্স।
 নাভিন সেভালডুরাল
প্রতিষ্ঠানের নাম ফোরস্কয়ার। বয়স ২৮। মোট সম্পদের পরিমাণ  ৮০ মিলিয়ন ডলার। নিউ ইয়র্ক শহরে নতুন বিষয় খুঁজে বের করতে বন্ধু এবং পারর্টনার ডেনিস ক্রাউলেকে সাহায্যের জন্যই ফোরস্কয়ার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নাভিন সেভালডুরাল। লোকেশন ভিত্তিক নেটওয়ার্কিং জায়ান্ট হিসেবে ফোরস্কয়ার ইতোমধ্যে শীর্ষে এসেছে। ক্রেতাদের সঙ্গে যুক্ত করতে ফোরস্কয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
 পিট ক্যাশমোর
প্রতিষ্ঠানের নাম  ম্যাশএবল ডটকম। বয়স ২৫ বছর। মোট সম্পদের পরিমাণ ৭৫ মিলিয়ন ডলার। ম্যাশএবল বর্তমান সময়ের অন্যতম সোশ্যাল মিডিয়া এবং প্রতিবেদনের বৃহত্তম ওয়েবসাইট। ২০০৫ সালে পিট ক্যাশমোর এই সাইটটি প্রতিষ্ঠা করেন। এই সাইটটির বর্তমান মাসিক পেজভিউ ৩০ মিলিয়নেরও বেশি; যা বর্তমান সময়ের আরেকটি নিউজসাইট টেকক্রাঞ্চকে ছাড়িয়ে গেছে। আর ম্যাশএবল জনপ্রিয় হবার কারণে এর রাজস্ব আয়ও  বিপুল।
 জাস্টিন কান
প্রতিষ্ঠানের নাম জাস্টিনডটটিভি।  বয়স ২৭ বছর। মোট সম্পদের পরিমাণ ৭০ মিলিয়ন ডলারের বেশি। ওয়েবে কোনো কিছু সরাসরি সম্প্রচার করা মানেই জাস্টিন টিভি। এই সাইটটি প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যে চারজন জড়িত রয়েছেন তাদের কারো বয়সই ৩০ এর ওপরে নয়। এই টিভিতে প্রতি মাসে দর্শকসংখ্যা দাঁড়ায় ত্রিশ মিলিয়নেরও বেশি আর প্রতিমাসে ৫০ মিলিয়ন ঘন্টারও বেশি ভিডিও স্ট্রিম এই টিভি থেকে দর্শকরা সরাসরি সম্প্রচার দেখতে পারেন।
 ডেভিড কার্প 
প্রতিষ্ঠানের নাম টাম্বলআর।বয়স  ২৪ বছর। মোট সম্পদ ৪০ মিলিয়ন ডলার । ২০০৭ সালে টাম্বলআর শুরু করেন ডেভিড কার্প । আর এই সাইটটি চালু করতে নিজের পকেটের অর্থ খরচ করেছিলেন তিনি। এজন্য তিনি আগে সফটওয়্যার ফার্মে চাকরি করে অর্থ জমিয়েছিলেন। এই সাইটটিতে প্রতিদিন ১৫ হাজারেরও বেশি নতুন ব্যবহারকারী যোগ দিচ্ছেন এবং প্রতিদিন পোস্ট সংখ্যা দাঁড়ায় ২ মিলিয়নেরও বেশি। সাইটটি আরো জনপ্রিয় করতে টাম্বলআর এখন বিভিন্ন উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে ফান্ড পাচ্ছে। এটি ওয়েবে মোস্ট ভিজিটেড সাইটগুলোর মধ্যে এলেক্সা র‌্যাংকিংয়ে সেরা ১০০-এর মধ্যে রয়েছে।
 ম্যাট মিকিওয়েজ
প্রতিষ্ঠানের নাম সাইটপয়েন্টডটকম, নায়েন্টিনাইনডিজাইনডটকম এবং ফ্লিপা ডটকম। বয়স ২৭ বছর।  মোট সম্পদের পরিমাণ ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। ১৯৯৯ সালে সাইটপয়েন্ট সাইটটি যখন চালু করেছিলেন ম্যাট তখন তার বয়স ছিলো মাত্রই ১৪। ওয়েব ডেভেলপিং শেখার জন্য তৈরি করা এই সাইটটি দ্রুতই মাল্টিবিলিয়ন ডলার  কোম্পানিতে পরিণত হয়। এরপর তিনি নায়েন্টিনাইন ডিজাইন নামের আরেকটি সাইট তৈরি করেন যা মূলত ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন নকশা নিয়ে কাজ করে। তারপর তৈরি করেন ফ্লিপা ডট কম যা মূলত ওয়েবসাইট তৈরি করে বিক্রি করে দেবার সাইট। এখনও তিনি একের পর এক সাইট তৈরি করে চলেছেন এবং প্রযুক্তি উদ্যোক্তা হিসেবে ইতোমধ্যে টেক বিশ্বে নাম কামিয়েছেন। আর এভাবে তার অর্থ-বিত্ত ক্রমশ ফেঁপে-ফুলে উঠছে যদিও বয়স মাত্রই ২৭।

 

...........................................................................................................................................

বিশ্বসেরা ১০ ফাইটার প্লেন

১) F-22 Raptor
ব্যবহারকারী দেশঃ USA
ম্যাক্সিমাম স্পীডঃ 1500 mph
মূল্যঃ $142.6 million
F-22 Raptor
২) Eurofighter Typhoon
ব্যবহারকারী দেশঃ UK, Germany, Italy, Spain
ম্যাক্সিমাম স্পীডঃ আনুভুমিক 913.2 mph, উল্লম্বিক 1550 mph
মূল্যঃ $86 million
Eurofighter Typhoon
৩) Sukhoi Su-35
ব্যবহারকারী দেশঃ Russia
ম্যাক্সিমাম স্পীডঃ 1500 mph
মূল্যঃ $65 million
Sukhoi Su-35
৪) F-15 C/D Eagle
ব্যবহারকারী দেশঃ USA
ম্যাক্সিমাম স্পীডঃ 1650 mph বা তারও বেশি
মূল্যঃ $100 million
F-15 C/D Eagle
৫) Sukhoi Su-27
ব্যবহারকারী দেশঃ Russia
ম্যাক্সিমাম স্পীডঃ 1550 mph
মূল্যঃ $30 million
Sukhoi Su-27
৬) Mig-35
ব্যবহারকারী দেশঃ Russia
ম্যাক্সিমাম স্পীডঃ 1491 mph বা 2400 km/hr 
মূল্যঃ $11 million
Mig-35
৭) F-16 E Fighting Falcon Block 60
ব্যবহারকারী দেশঃ USA
ম্যাক্সিমাম স্পীডঃ উল্লম্বিক 1500 mph, আনুভুমিক 915 mph
মূল্যঃ $100 million
F-16 E Fighting Falcon Block 60
৮) Dassault Rafale
ব্যবহারকারী দেশঃ France
ম্যাক্সিমাম স্পীডঃ 750 knots - 1290 knots
মূল্যঃ $82.3 million
Dassault Rafale
৯) J-10
ব্যবহারকারী দেশঃ People's Republic of China
ম্যাক্সিমাম স্পীডঃ 1.9 mach
J-10
১০) F-18E/F Super Hornet
ব্যবহারকারী দেশঃ USA
ম্যাক্সিমাম স্পীডঃ 1190 mph বা 1900 km/hr
মূল্যঃ $60.3 million
 

......................................................................................................................................................................

বিশ্বসেরা ১০ কিবোর্ডিষ্ট অফ আলটাইম ঃ 

1. রিচার্ড রাইট : তিনি একাধারে পিয়ানিস্ট , কিবোর্ডিষ্ট , কম্পোজার ,গীতিকার এবং বিশ্ববিখ্যাত ব্যান্ড "পিঙ্ক ফ্লয়েড" এর একজন কর্ণধার । তিনি সমৃদ্ধিসহকারে সংযোগ করতেন এক শব্দ আধ্যাত্বিক স্তর যা ছিল একটি অত্যাবশ্যক উপাদান এবং একটি পিঙ্ক ফ্লয়েড এর শব্দ স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট. ।


2. জন লর্ড : ব্রিটিশ কম্পোজার , পিয়ানিস্ট এবং হ্যামন্ড অরগান প্লেয়ার এবং ডীপ পার্পাল ব্যান্ড এর একজন মেম্বার । ক্লাসিকাল স্টাইল এবং ব্লুজ ঘরানার মিউজিশিয়ান। ২০১১ সালে তিনি ডক্টর অফ মিউজিক উপাধি পান ।


3. জর্ডান রুড্‌স : ১৯৫৬ সালে জন্ম নেওয়া এক ইহুদী কিবোর্ডিষ্ট । ১৯৯৭ সালে বিশ্বসেরা প্রগ্রেসিভ রক ব্যান্ড ড্রীম থিয়েটার এ যোগ দেন। তিনি বেশ সুপরিচিত তার অসাধারন ফিঙ্গারিং স্টাইল , দ্রুত গতির প্লেয়িং , অদ্ভুত সাইকেডেলিক কম্পজিসন এবং টেকনিকালি কিবোর্ড কর্ডিং এর জন্যে । তিনি ই উদ্ভাবন করেন আই-প্যাড মিউজিক এ্যপ " মরফিজ" । 


4. রিক ওয়েকম্যান : একজন ব্রিটিশ কিবোর্ড প্লেয়ার । অসাধারন বাজানোর স্টাইল , ক্ষিপ্রমান এবং দ্রুতগতির বাজানোর জন্যে তিনি সুপরিচিত । তিনি দীর্ঘদিন "ইয়েস" ব্যান্ড এর মেম্বার ছিলেন।


5. টমাস হলোপেইনেন : আমার মোস্ট ফেবারিট একজন কিবোর্ড প্লেয়ার । তিনি বিখ্যাত ফিনিশ ব্যান্ড নাইটউইশ" ব্যান্ড এর ফাউন্ডার মেম্বার । আমাকে যদি সেরা দশ এর তালিকা করতে বলা হত , আমি ইনাকে ১ নম্বরে রাখতাম , তিনি একাধারে গীতিকার ,কম্পোজার , কিবোর্ডিস্ট । তার অসাধারন মনোমুগ্ধকর গানের কম্পোজিশন এবং গানের লেখার স্টাইল তাকে অন্যান্য কিবোর্ডিস্ট থেকে আলাদা করে । অদ্ভুত ফ্যান্টাসি স্টাইল প্লেয়িং ,অর্কেস্ট্রা টাইপ কম্পোজিশন এবং রোমাঞ্ছকর শব্দ পরিবেশন তাকে সেরা দশের তালিকায় বিশেষ স্থান দিয়েছে ।


6. টনি ব্যাঙ্কস : একাধারে কম্পোজার এবং মাল্টি ইন্সট্রুমেন্টালিষ্ট।এবং জেনেসিস ব্যান্ড এর কিবোর্ড প্লেয়ার। তিনি বিভিন্ন কিবোর্ড ইন্সট্রুমেন্ট দিয়ে রোমাঞ্ছকর মনোমুগ্ধকর সঙ্গীত পরিবেশন করতেন। 



7. কেভিন মোর : ড্রীম থিয়েটার এর একজন এক্স কিবোর্ডিস্ট । এই ব্যান্ড কে উপরে তোলার পিছনে তার যথেষ্ট অবদান ছিল ।


8. কেথ ইমারসন : অন্যান্য কিবোর্ডিস্ট দের সাথে কেথ ইমারসন কে সেরা দশের তালিকায় রাখা হয় তার টেকনিকালি প্লেয়িং স্টাইল এর জন্যে ।



9. জেনি ওয়ারম্যান : ফাস্ট স্টাইল প্লেয়িং এর জন্যে বিক্ষ্যাত এবং চিল্ড্রেন অফ বডোম এর কিবোর্ডিস্ট জেনি ওয়ারম্যান ।




10. ডেভ ব্রায়ান : প্রথমে তিনি একজন ট্রাম্পেট প্লেয়ার ছিলেন , পরে একাধারে কিবোর্ড এবং পিয়ানোবাদক হিসেবে পরিচিতি পান । তিনি দীর্ঘসময় জন বন জভি এর ব্যান্ডে কিবোর্ডিস্ট হিসেবে বাজিয়েছেন । অত্যান্ত ট্যালেন্টেড কীবোর্ড বাদক হিসেবে বেশ সুপরিচিত। 


 .....................................................................................................................................................................

বিশ্বসেরা ১০ কার্টুনিস্ট

http://www.boneville.com/wp-content/uploads/2009/11/Cartoonist-DVD-review-4outta51.jpg

১. রোনাল্ড শার্লে
জীবিত কার্টুনিস্টদের মধ্যে তিনি সবচেয়ে সেরা। শার্লে বেশি পরিচিত ‘এসটি ট্রিনিয়ানস’র স্রষ্টা হিসেবে। একই নামে তার একাধিক বই ও সাতটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র রয়েছে। ইংল্যান্ডের ক্যামব্রিজ শহরে ১৯২০ সালের ৩ মার্চ জন্ম নেওয়া এ শিল্পী ৫ বছর বয়স থেকে আঁকা শুরু করেন। স্কুল ছাড়েন ১৫ বছরে। বিখ্যাত ‘লিলিপুট’ ম্যাগাজিনে ১৯৪২ সালে ‘এসটি ট্রিনিয়ানস’ কার্টুনটি প্রথম ছাপা হয়। তিনি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় আমেরিকায়। তিনি সেখানকার ‘ন্যাশনাল কার্টুনিস্ট সোসাইটি’র পুরস্কারসহ বহু পদক পেয়েছেন। এছাড়া সিঙ্গাপুর, মালয়, জাপানসহ সারা বিশ্বেই তিনি পরিচিত।
২০০৫ সালে বিবিসি তার জীবন এবং কাজ নিয়ে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছ। ৯০ বছর বয়সী এ শিল্পী এখনো নিয়মিত আঁকছেন। ২০১০ সালে তিনি জার্মানির ‘ভিলহেম বুশ মিউজিয়াম হানোভার’ জাদুঘরকে তার ২২০০টি কাজ প্রদান করেছেন।
http://www.sherioneal.com/wordpress/wp-content/uploads/2013/02/archer_2.jpg

২. সউল স্টেইনবার্গ
রোমানিয়ায় ১৯১৪ সালের ১৫ জুন জন্ম নেওয়া আমেরিকান এ কার্টুনিস্ট চিত্রশিল্পের জনপ্রিয় ও ফাইন আর্টস দু শাখাতেই কাজ করেছেন। তিনি সর্বাধিক পরিচিত তার ‘দি নিউ ইয়র্কার’ কাজের জন্য।
ইউনিভার্সিটি অব বুখারেস্ট এক বছর দর্শনশাস্ত্রে পড়ালেখা করলেও ১৯৪০ সালে তিনি আর্কিটেকচারে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেন। মিলানে থাকার সময়ে ব্যাঙ্গাত্মক ম্যাগাজিন ‘বার্টোল্ড’র সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন।
 ‘দি নিউ ইয়র্কার’ ম্যাগাজিনের জন্য তিনি এ পর্যন্ত তিনি ৯০টি প্রচ্ছদ ও ১২০০-র মতো ছবি এঁকেছেন। ‘ভিউ অব দি ওয়ার্ল্ড ফ্রম নাইনথ এভিনিউ’ তার অন্যতম একটি জনপ্রিয় প্রচ্ছদ। তিনি মারা যান ১৯৯৯ সালে ১২ মে।
৩. ওয়াল্ট ডিজনি
যদিও ডিজনি চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে পরিচিত,  তবু তিনি এ সময়ের কার্টুনিস্টদের ওপর অনেক নামি শিল্পীদের থেকেও বেশি প্রভাব বিস্তার করছেন। কারিগরি জ্ঞানে তিনি সেরা কার্টুনিস্ট নন কিন্তু তিনি এটি  জানেন কোন চরিত্রটি মানুষের কাজে আসবে। তাই তিনি চিন্তা করেন বিভিন্ন চরিত্র নির্মাণের। তার চিন্তাকে  বাস্তবে দেখার  জন্য আনেন কার্টুনিস্ট ভাড়া করে। বিশ শতকে ‘মিকি মাউস’র মতো  অনেক জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্র তার দল নির্মাণ করেছে।

আমেরিকায় ১৯০১ সালের ৫ ডিসেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। মারা যান ১৯৬৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর।

৪. জর্জ গ্রজ
এ মেধাবী জার্মান শিল্পীকে তার নিষ্ঠুর কার্টুন স্ক্রিপ্ট এবং নির্মম নাৎসিবিরোধী কার্টুনের জন্য সবাই চেনেন। তার কাজের জন্য জার্মান সেনারা ২০ বছর বয়সেই  তাকে অভিযুক্ত করে এবং তার অনেক কাজ ধ্বংস করে। যদিও  তিনি কোনো সময়ই সরাসরি রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন না। তবে তিনি মানুষকে প্রতিবাদী করেছেন তার কার্টুনের মাধ্যমে। এ শিল্পী ১৮৯৩ সালে ২৬ জুলাই জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করেন এবং মারা যান ১৯৫৯ সালে ৬ জুলাই। ‘এট ডাস্ক’ তার অন্যতম কাজ। তার সবচেয়ে ভালো কাজগুলো তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ই করেছিলেন।
৫. ম্যাক্স বিয়ারবম
লন্ডনে জন্ম নেওয়া বিয়ারবম একজন প্রাবন্ধিক ও ব্যঙ্গচিত্রকর। বিচিত্র ধরনের মানুষের মুখ আঁকায় সিদ্ধহস্ত ছিলেন। ভিক্টোরিয়ান ও অ্যাডওয়ার্ডিন রাজনীতিকে ব্যঙ্গ করে আঁকা ও লেখা তার কাজগুলো বিশাল আকারে ছাপা হতো ‘দি স্ট্যান্ড’-এর মতো নামি ম্যাগাজিনে। তিনি ১৮৭২ সালের ২৪ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৫৬ সালের ২০ মে ইতালিতে মারা যান।
৬. অনর দুমিয়ে
ফ্রান্সে জন্ম নেওয়া অনর দুমিয়ে একাধারে পেইন্টার, ভাস্কর, ব্যঙ্গচিত্রকর এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যঙ্গ লেখক হিসেবে জনপ্রিয়। তার আঁকায় বিষাদের প্রতিফলন ফুটে ওঠে, তবে দেখতে খুব সাধারণ মনে হয়। তিনি বিশেষভাবে বিখ্যাত ছিলেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ব্যঙ্গচিত্র আঁকার জন্য। তিনি ছবির মাধ্যমে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতেন মানুষের দুর্বলতা এবং ব্যর্থতা। তিনি আত্মদম্ভীদের দুর্বলতা দিয়ে ব্যঙ্গ করতে পছন্দ করতেন। তিনি তার পেইন্টিংয়ের মাধ্যমেও বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে হাস্যাস্পদ করেছেন। তিনি কিং লুই ফিলিপকে নাশপাতি গাছের মতো করে আঁকার জন্যও বিখ্যাত। দুমিয়ে ১৮০৮ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি জন্ম গ্রহণ করেন এবং মারা যান ১৮৭৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি।
৭. পাবলো পিকাসো
পিকাসো সারা বিশ্বে চিত্রশিল্পী হিসেবেই সম্মানিত। যদিও তার অনেক কাজে কার্টুনের উপাদান পাওয়া যায়, উদাহরণ হিসেবে ১৯০১ সালে তার  আঁকা ‘সেলফ পোর্ট্রেট ইন এ টপ হ্যাট’-এর কথা বলা যায়;  কিন্তু তিনি সুস্পষ্ট কার্টুনিস্ট না। তিনি সবসময় নিজের ছবিকে একইভাবে উপস্থাপন করতে চাননি।

সমালোচকরা মনে করেন, পিকাসো যখন একই ধারার কাজে বিরক্ত হয়ে যেতেন তখন তিনি অতিরঞ্জিত যা দেখতেন তা ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে সত্যিকারভাবে প্রকাশ করতেন। অন্যান্য নামি কার্টুনিস্টদের চিত্রে যা পাওয়া যায় না এ শিল্পীর অনেক ছবিতে তাও পাওয়া যায়। তাই তিনি এ তালিকায় আছেন। জগদ্বিখ্যাত এ শিল্পী ১৮৮১ সালের ২৫ অক্টোবর স্পেনে জন্মগ্রহণ করেন এবং মারা যার ১৯৭৩ সালের ৮ এপ্রিল।
৮. উইলিয়াম হোগার্থ
ভাস্কর্যে তার আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। তিনি সেই মহান শিল্পী যিনি ব্রিটিশ সমাজকে ব্যঙ্গচিত্র এবং পেইন্টিংয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি তখন দুঃসাহসিকভাবে ব্রিটিশ রাজপরিবার ও প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সমালোচনা করেছেন তার কাজের মাধ্যমে। তার নানা চিত্রে ব্যঙ্গভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন মানুষের অহেতুক দম্ভ । এ শিল্পী সম্ভবত সবচে বেশি পরিচিত ১৭৩৫ সালে আঁকা ‘এ রাকি’স  প্রোগ্রেজ’ এর জন্য। এ সময়ে যারা কার্টুন সম্পর্কে খোঁজখবর রাখেন বা আঁকেন তাদের অনেকেই তাদের অজান্তে  হোগার্থ দ্বারা প্রভাবিত। এ শিল্পী ১৬৯৭ সালের ১০ নভেম্বর ব্রিটেনে জন্মগ্রহণ করেন এবং মারা যান ১৭৬৪ সালের ১৭ অক্টোবর।
৯. আদ্রেঁ ফ্রাঁসোয়া
আদ্রেঁ ১৯১৫ সালের ৯ নভেম্বর হাঙ্গেরিতে জন্মগ্রহণ করেন। একাডেমি অব ফাইন আর্টসে পড়ালেখা করেন বুদাপেস্টে। প্যারিসে আসেন ১৯৩৪ সালে। তিনি ‘পাঞ্চ’সহ বিভিন্ন ব্যঙ্গ ম্যাগাজিনের সাথে কাজ করেছেন। এঁকেছেন ‘পাঞ্চ’ ম্যাগাজিনের অনেক প্রচ্ছদ। তিনি আঁকতেন খুব সরল পদ্ধতিতে আর এটিই তাকে স্বতন্ত্র করেছে। সে সময়ের অনেক শিল্পী তার আঁকায় অসমাপ্ততা খুঁজে পেতেন; কিন্তু তার এ ব্যতিক্রমী পদ্ধতির কাজই তাকে বিখ্যাত শিল্পীতে রূপান্তর করেছে। তিনি মারা যান ২০০৫ সালের ১১ এপ্রিল।
১০. আল হার্শফেল্ড
হলিউডের সোনালি সময়ের তারকাদের ব্যঙ্গ পোর্ট্রেটের জন্য বিখ্যাত মেধাবী কার্টুনিস্ট হার্শফেল্ড। তিনি রিটা হেওয়ার্থ থেকে শুরু করে ফ্রেড অ্যাস্টেয়ার ও বারবারা স্ট্রেইস্যান্ড সবার পোর্ট্রেট এঁকেছেন সাদা কালো রঙে। মেধাবী এ শিল্পী মাত্র কয়েকটি আঁচড়েই তুলে আনতেন তারকাদের ব্যঙ্গ রূপ। ১৯০৩ সালের ২১ জুন আমেরিকায় জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৩ সালের ২০ জানুয়ারি ৯৯ বছর বয়সে তিনি মারা যান।  .....................................................................................................................................................................

বিশ্বসেরা ১২ উদ্যোক্তা

স্টিভ জবস
অ্যাপল

১৯৮৪ সালে অ্যাপল কার্যালয়ে
স্টিভ জবস বা অ্যাপলের নাম না জানলে আপনাকে মোটামুটি প্রযুক্তি সম্পর্কে অজ্ঞ হিসেবেই ধরে নেবেন বাকিরা। স্টিভ জবসের প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের বর্তমান বাজার মূল্য ৫৪৬ বিলিয়ন ডলার এবং প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করছেন ৬৩ হাজার ৩০০ জন কর্মী। নতুন কোন উদ্যোক্তার কাছে স্টিভ জবস একটি বিশ্ববিদ্যালয়। তাকে ধরা হয় গত শতাব্দীর সবেচেয়ে মেধাবী, দূরদর্শী, সৃষ্টিশীল উদ্যোক্তা হিসেবে গণ্য করা হয় তাকে। উদ্যোক্তাদের জন্য স্টিভ জবসের উপদেশ ছিলো বাজার গবেষণা এবং বিশ্লেষকরা আপনার সৃষ্টিশীলতার কাছে কিছুই নয়। আর তাইতো ম্যাক কম্পিউটার, আইপড, আইফোন, আইপ্যাড দিয়ে পৃথিবীর তথ্য প্রযুক্তির ধারণাকেই বদলে দিয়েছেন এই উদ্যোক্তা।
বিল গেটস
মাইক্রোসফট

১৯৮৩ সালে তরুন বিল গেটস
মাইক্রোসফট পুরো কম্পিউটার জগতকেই নিজেদের মতো করে তৈরি করে নিয়েছে। আজকে আপনি কম্পিউটারে যাই করতে জানেন মাইক্রোসফটের সফটওয়্যার ছাড়া অসহায় বোধ করবেন। আর এই প্রতিষ্ঠানটি যিনি গড়ে তুলেছেন তিনি বিল গেটস। মাইক্রোসফটের বর্তমান বাজার মূল্য ২৭৩.৫ বিলিয়ন ডলার এবং বিশ্বব্যাপী মাইক্রোসফটে কাজ করছেন ৯০ হাজার কর্মী। বিল গেটস বর্তমানে সমাজসেবামূলক সংগঠন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সহ সভাপতি হিসেবে বিশ্বব্যাপী মানবতার কল্যাণে কাজ করেযে যাচ্ছেন। একসময়কার বিশ্বের সেরা ধনী হিসেবে স্বীকৃত বিল গেটসের উপদেশ হলো, ‘তুখোড় বুদ্ধিমান মানুষদের খুঁজে বের করুন এবং ছোট দলে কাজ করুন’।
ফ্রেড স্মিথ
ফেডএক্স

১৯৭০ এর দশকে ফ্রেড স্মিথ
ফেডারেল এক্সপ্রেস বা ফেডএক্স এর ধারণাটি ফ্রেড স্মিথ দিয়েছিলেন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে তার টার্ম পেপার হিসেবে। কিন্তু ভিয়েতনাম যুদ্ধে কাজ করার অভিজ্ঞতা তাকে ফেডএক্স চালু করতে সবচেয়ে বেশি উদ্বুদ্ধ করে বলে জানান এই উদ্যোক্তা। ১৯৬৭ সাল থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত তিনি ভিয়েতনাম যুদ্ধে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। প্রথমে মার্কিন নৌবাহিনীর রাইফেল প্ল্যাটুন লিডার এবং পরে এয়ার কনট্রোলার হিসেবে। যুদ্ধের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে স্মিথ শিক্ষাগ্রহণ করেন যে একইসাথে বিপুল পরিমাণ সেনা এবং তাদের খাদ্য ও অস্ত্র গোলাবারুদ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরিয়ে নেয়াটা দুষ্কর এবং সময়সাপেক্ষ। আর বিমানের মাধ্যমে দুর্গম অঞ্চলে সাহায্য পৌঁছে দেয়াটাও মুশকিল। আর সেখান থেকেই ফেডারেল এক্সপ্রেস কর্পোরেশন চালু করেন তিনি যারা বিমানে পণ্য নিয়ে তা গাড়িতে করে যে কোন স্থানে পৌঁছে দেবে।
জেফ বেজোস
অ্যামাজন

জেফ বেজোস ১৯৯৮ সালে
ই-কমার্স বা ইন্টারনেটে বেচা কেনার ব্যাপারে যারা মোটামুটি খবর রাখেন তারা অ্যামাজনের সাথে পরিচিত। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান বাজার মূল্য ৮৪ বিলিয়ন ডলার এবং কর্মী সংখ্যা ৫৬ হাজার ২০০। নিউইয়র্কে বসের উপর রাগ করে চাকরি ছেড়ে দিয়ে আমেরিকা ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন জেফ বেজোস। আর ঘুরতেই ঘুরতেই সফটওয়্যার ডেভেলপারদের বিশাল সংখ্যা সম্পর্কে তার ধারণা হয়। আর তার ওপর ভরসা করেই ১৯৯৪ সালে শুরু করেন ইকমার্স সাইট অ্যামাজনের যাত্রা। আজকে যারা অল্পতেই মুনাফার জন্য হা পিত্যেশ করেন তারা শুনলে অবাক হবেন প্রতিষ্ঠার ৬ বছর পরে লাভের মুখ দেখে প্রতিষ্ঠানটি। আর এই দীর্ঘ সময় সাহসী উদ্যোক্তার মতোই প্রতিষ্ঠানটিকে টেনে নিয়ে গেছেন বেজোস। একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান তৈরির চেয়ে একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রতিষ্ঠান তৈরির ব্যাপারেই মনোযোগী ছিলেন এই উদ্যোক্তা। কাজের চাপ এবং হতাশা যেন তাকে গ্রাস করতে না পারে সেজন্য প্রায়ই ঘুরতে বেরিয়ে পড়তেন তিনি আর এসব থেকেই নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে কাজ করার উৎসাহ পেতেন তিনি। তাইতো উদ্যোক্তাদের জন্য তার উপদেশ ছোট ছোট করে হলেও নিয়মিত ঘুরতে বেরিয়ে পড়ুন।
ল্যারি পেজ এবং সার্গেই ব্রিন
গুগল

১৯৯৯ সালে গুগলের কার্যালয় যখন গ্যারেজে
গুগল ছাড়া ইন্টারনেট জীবন তো কল্পনাই করা যায়না এখনকার পৃথিবীতে। ছোট থেকে বড় যে কোন প্রয়োজনে যে কোন সমস্যার সমাধানে মনের অজান্তেই কিবোর্ডে হাত রেখে গুগল সার্চ দিয়ে বসি আমরা সবাই। আর এই গুগলের দুই প্রতিষ্ঠাতা লেরি পেজ এবং সার্গেই ব্রিন। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান বাজার মূল্য ২০৩.২ বিলিয়ন ডলার এবং কর্মীসংখ্যা ৩২ হাজার পাঁচশো। এত দামী প্রতিষ্ঠান যারা চালাচ্ছেন তাদের উপদেশ হলো, ‘আবিষ্কারের পেছনে কোন টাকার খরচ করবেন না’। ১৯৯৬ সালে লেরি পেজের বয়স ছিলো ২৩ বছর। এবং সেই বয়সে হঠ্যাৎ তার ইচ্ছে হলো পুরো ইন্টারনেট দুনিয়াকে কম্পিউটারের ভেতরে নিয়ে আসা। যেই কথা সেই কাজ। লিখতে বসে গেলেন নিজের পরিকল্পনাগুলো। পুরোনো দিনের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মাঝরাতের দিকে লেখা শেষ করলাম এবং নিজেকে বোঝাতে সক্ষম হলাম যে এই ব্যাপারগুলো কাজ করবে’। পেজের সেই পরিকল্পনা যে কাজ করেছে তা তো আমরা প্রতিদিনিই ইন্টারনেটে কাজ করতে গেলে টের পাই। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সার্চ ইঞ্জিন হচ্ছে গুগল।
হাওয়ার্ড স্কাল্টজ
স্টারবাকস

১৯৯৩ সালে হাওয়ার্ড স্কাল্টজ
মূল্যস্ফীতি এবং চাকুরিচ্যুতির এই যুগে অনেক বিশ্লেষকই বলেছিলেন হাওয়ার্ড স্কাল্টজ এর চেইন কফিশপ স্টারবাকস টিকে থাকবে না। কিন্তু আট বছর দীর্ঘ বিরতির পর ২০০৮ সালে দ্বিতীয়বারের মত প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে স্টারবাকস লাভের মুখ দেখতে শুরু করে। একজন সফল উদ্যোক্তার মতোই তিনি প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির বাজার মূল্য ৪০ বিলিয়ন ডলার এবং কর্মীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৯ হাজার। 'সবসময় পুরোনো পদ্ধতিকে চ্যালেঞ্জ করুন'-এমন উপদেশ তার মুখেই শোভা পায়।

মার্ক জুকারবার্গ
ফেসবুক

২০০৬ সালে পালো অল্টোতে জুকারবার্গ
সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটের ইতিহাস পাল্টে দেয়া সাইটের নাম ফেসবুক আর এই ইতিহাস স্রষ্টার নাম মার্ক জুকারবার্গ। মাত্র ৮ বছর আগে ফেসবুকের যাত্রা শুরু হয়েছিলো হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে জুকারবার্গের কক্ষে। তাই স্টিভ জবস, বিল গেটসের মতোই শিক্ষাজীবন অসমাপ্ত রাখা এই উদ্যোক্তাকে বলা হয় তাদের যোগ্য উত্তরসূরী।
ফেসবুকের বর্তমান বাজারমূল্য আনুমানিক ৭৫ থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলার। আর বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করছেন ৩ হাজার ২০০ কর্মী। নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য জুকারাবার্গের উপদেশ ‘বিভ্রান্তিকে বিব্রত করুন’।
জন ম্যাকি
হোল ফুডস

২০০৫ সালে নিজের জগতে জন ম্যাকি
১৯৭৮ সালে জন ম্যাকি এবং তার তৎকালীন বান্ধবী রিনি লসন মিলে তাদের প্রথম সবজির দোকান চালু করেন। এই উদ্যোগের পেছনে তাদের উদ্দেশ্য ছিলো সুখী ভাবে বাঁচার জন্য আনন্দে থাকা এবং সংখ্যায় অল্প হলেও কিছু লোককে স্বাস্থ্যকর উপায়ে বাঁচতে সাহায্য করা।
উস্কোখুস্কো চুল আর মুখে অগোছালো দাড়ি, বয়স মাত্র ২৫ বছর। জন ম্যাকি তখন কলেজ ড্রপআউট অর্থ্যাৎ লেখা পড়া শেষ করেন নি। উদ্যোগটি নিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘ব্যবসায় মুনাফা বা লাভ হচ্ছে একটি প্রয়োজনীয় শয়তান’! আর আজকে হোল ফুডসের রয়েছে ৩০০ এর অধিক সুপারস্টোর এবং ৫৬ হাজার কর্মী যাদেরকে ‘টিম মেম্বার’ বলা হয়।
মানুষকে স্বাস্থ্যসম্মত, ভালো খাবার খাওয়ানোর উদ্দেশ্যে যে ব্যবসা শুরু করেছিলেন জন একসময় মুনাফার দিকে থেকে তা ছাড়িয়ে গেছে অনেক মূলধারার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকেও। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান বাজার মূল্য ১৫.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর এই প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তা জন ম্যাকির উপদেশ হলো, ‘উদ্দেশ্য মানুষকে উৎসাহিত করে’।
হার্ব কেলেহার
সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্স

১৯৯৪ সালে ডালাসে কেলেহার
হার্ব কেলেহার যখন ওয়েসলিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি নিয়ে পড়ালেখা করেন তখন তাকে তিনটি কাজের কথা বলা হয়েছিলো যা তার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে। কাজ তিনটি হলো সাংবাদিকতা, সম্পাদক হওয়া অথবা আইনজীবী হিসেবে কাজ করা। কেলেহার আইনকে বেছে নিয়েছিলেন এবং এটা তার জন্য শুভ ছিলো। এবং এ কারণেই দীর্ঘ পাঁচ বছরের আইনী লড়াই শেষে ১৯৭১ সালের জুনে প্রতিদ্বন্দ্বীদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তিনি সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্সকে আদালতের কাঠগড়া থেকে নামিয়ে আকাশে ওড়াতে সক্ষম হয়েছিলেন। যেখানে সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে মন্দাভাব, একের পর এক নামকরা প্রতিষ্ঠান মুখ থুবড়ে পড়ছে সেখানে টানা ৩৯ বছর যাবৎ ধরে লাভের মুখ দেখে যাচ্ছে সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্স। যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ব্যবসার ইতিহাসে এটা এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। কিভাবে এটা সম্ভব হলো? এর কারণ কেহেলারের প্রতিষ্ঠান সবার আগে নিশ্চিত করেছে কম খরচে উন্নত গ্রাহক সেবা। খরচ একদম কমিয়ে এনে গ্রাহককে সর্বোচ্চ সুবিধা দেয়ার প্রচেষ্টাই সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্সকে অন্য সবার থেকে পৃথক করে রেখেছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির বাজার মূল্য ৬.৪ বিলিয়ন ডলার এবং এর সাথে জড়িয়ে আছেন ৪৫,৯৩২ জন কর্মী। উদ্যোক্তাদের জন্য কেহেলারের পরামর্শ হচ্ছে, ‘আপনার গ্রাহককে প্রথম করে তুলুন’।
নারায়ণ মূর্তি
ইনফোসিস

২০০২ সালে ব্যাঙ্গালোরে ইনফোসিস ক্যাম্পাসে নারায়ন মূর্তি
১৯৭৪ সালে নারায়ন মূর্তি ছিলেন একজন কট্টর বামপন্থী প্রকৌশলী। এবং একদিন ফ্রান্স থেকে ট্রেণে চড়ে নিজের দেশ ভারতে ফিরছিলেন। ট্রেণের ভেতর এক সহযাত্রীর সাথে তিনি বাম ঘরাণার আন্দোলন নিয়ে কথা বলছিলেন। পাশের এক যাত্রী ভেবেছিলেন মূর্তি হয়তো বুলগেরিয়ার সমাজতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধাচারণ করছেন। অতএব তিনি পুলিশ ডেকে আনলেন এবং নারায়ন মূর্তিকে পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়ে ট্রেণের একটি বন্ধ কামড়ায় ৭২ ঘন্টা আটকে রাখলো কোন রকমের দানা, পানি ছাড়া। এবং তাকে তুরষ্কের ইস্তাম্বুলে ফেলে রেখে ট্রেণটি চলে যায়। এই অপমান মূর্তিকে দারুনভাবে অঘাত করে এবং তিনি অনুভব করেন যদি তাকে সত্যিকার অর্থেই বিপ্লব ঘটাতে হয় তাহলে বামপন্থীরা যে রাস্তা পরিত্যাগ করেছে সেই রাস্তাতেই যেতে হবে। এই একটি ঘটনাই পাল্টে দিয়েছে নারায়ণ মূর্তির জীবন। ২১ বছর ধরে তিনি ইনফোসিস এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ৬ জন সহ প্রতিষ্ঠাতার একজন। একজন মূর্তির মাধ্যমে আইটসোর্সিংয়ে ভারতের মত দেশ বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করেছে এবং প্রমাণ করেছে বিশ্বে যদি আউটসোর্সিংয়ের কাজ করতে হয় তাহলে তা ভারতেই করতে হবে। জীবন বড় হতে হলে কি দরকার? নারায়ণ মূর্তি বলেন, ‘আজকে কষ্ট করুন, আগামীকাল সুফল পেয়ে যাবেন’। সফলতা কখনোই সহজে হাতের মুঠোয় ধরা দেবে না, অনেক কষ্টে তাকে পেতে হয়। ৬৫ বছর বয়সী সফল এই উদ্যোক্তার মতে, ‘পুরো ব্যাপারটাই হচ্ছে কঠোর পরিশ্রম, হাজারো হতাশা নিয়ে পরিবার থেকে দূরে থাকা এই আশায় যে একদিন আপনি যা চাইছেন তা হবে এবং এই আপনার ত্যাগ স্বার্থক হবে’। বর্তমানে ইনেফাসিসের বাজার মূল্য ৩২ বিলিয়ন ডলার এবং কর্মীসংখ্যা ১ লাখ ৪৫ হাজার ৮৮ জন।
স্যাম ওয়ালটন
ওয়ালমার্ট স্টোরস

১৯৮৪ সালে ৬৪ বছর বয়সী স্যাম ওয়ালটন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল খুচরা ব্যবসায়ীর নাম স্যাম ওয়ালটন। তার প্রতিষ্ঠান ওয়াল মার্ট স্টোরস এর বর্তমান বাজার মূল্য ৩৬.৫ বিলিয়ন ডলার এবং কর্মী সংখ্যা ২ মিলিয়ন। পাশের ছবিটি দেখে অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন এই বুড়ো জোকারটা কে? ইনিই সেই বিখ্যাত স্যাম ওয়ালটন। ছবিটি ১৯৮৪ সালে তোলা ওয়ালস্ট্রীটের রাস্তায় ৬৬ বছর বয়সী ওয়ালটন হুলা নাচ নেচেছিলেন। এটা নিয়ে সমালোচকরা নানা কথা বলেছিলেন তখন। তারা বলেছিলেন, ক্রেতাদের আকর্ষনের জন্য এরকম সং সাজার কোন মানে হয় না। ওয়ালটন কারো কথার কোন জবাব দেননি তখন। পরবর্তীতে তার আত্মজীবনী ‘স্যাম ওয়ালটন: মেড ইন আমেরিকা’ তে তিনি লিখেছিলেন, ‘সেদিন যারা আমার নাচের সমালোচনা করেছিলেন তারা হয়তো বুঝতে পারেন নি ওয়ালমার্ট স্টোরে সবসময়ই এরকম ঘটনা ঘটে থাকে’। পাঠকরা আবার ভেবে বসবেন না যে ওয়ালমার্টের কর্মীরা মনে হয় কাজ করেন না, এসব ভাড়ামি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। সারাদিন তারা প্রচন্ড পরিশ্রম করেন এবং বললে হয়তো বিশ্বাস করবেন না পরিশ্রমের সাথে আবিস্কারও করেন তারা। যে কারনে ১৯৬২ সালে ওয়ালটন প্রথম ওয়ালমার্ট স্টোরটি খুলেছিলেন তা হলো খুচরা ব্যবসার জগতে শৃঙ্খলা নিয়ে আসা এবং গ্রাহকদের সেরা পণ্যটা দেয়া। ১৯৯২ সালে ৭৪ বছর বয়সে উদ্যোক্তা স্যাম ওয়ালটন মারা গেলেও মৃত্যুর আগে তিনি আমেরিকার খুচরা ব্যবসার ইতিহাস সাফল্যের সাথে লিখে গিয়েছেন। কত কম দামে ক্রেতাদের ভালো পণ্য দেয়া যায় এটাই ছিলো ওয়ালটনের প্রধান চিন্তা। তাইতো খুচরা ব্যবসার কৌশল সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘কম দামে কিনুন, বেশি মাত্রায় কিনুন এবং সস্তায় বিক্রি করুন’। আর উদ্যোক্তাদের জন্য তার উপদেশ, ‘মানুষকে সেটাই দিন যা তারা চায়’।
মুহম্মদ ইউনুস
গ্রামীণ ব্যাংক

১৯৯৮ সালে মুহম্মদ ইউনুস
বাংলাদেশি মুহম্মদ ইউনুসকে কে না চেনেন? নোবেল বিজয়ী প্রথম বাংলাদেশি, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। বিশ্বসেরা ১২ উদ্যোক্তার তালিকায় থাকা একমাত্র বাংলাদেশিও তিনি। অনেক ছোট খাট উদ্যোগ যে একসময় বিশালাকৃতি ধারণ করতে পারে এবং মানুষের স্বপ্নকে সত্যি করতে পারে তার জ্বলন্ত উদাহরণ মুহম্মদ ইউনুস এবং তার প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক। গ্রামীণ ব্যাংককে বলা হয় গরীবের ব্যাংক। ১৯৭০ এর দশকে অধ্যাপক ইউনুস তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি পড়ান। ক্লাস নেয়ার পাশাপাশি তিনি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন জোবরা গ্রামের গরীব মানুষদের বেতের ঝুড়ি তৈরির জন্য কিছু টাকা ধার দিলেন। কিন্তু এই কয়েক হাজার টাকাকে কাজে লাগিয়ে এই দরিদ্র মানুষরা যে স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারেন এবং সময় মত ঋণের অর্থ শোধ করে দেবেন তা ইউনুস স্বপ্নেও ভাবেন নি। জোবরা গ্রামের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি আশেপাশের আরো বেশ কয়েকটি গ্রামে ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প নিয়ে কাজ করতে থাকলেন। ১৯৮৩ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন গ্রামীণ ব্যাংক। যা ২০০৬ সালে নোবেল পুরষ্কারে ভূষিত হয়। সবচেয়ে বড় কথা ক্ষুদ্রঋণের ধারণাটি মুহম্মদ ইউনুসের মাধ্যমে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পদে এবং বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশে দারিদ্র্য বিমোচনে এই কৌশল ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই মুহম্মদ ইউনুসের উপদেশ হচ্ছে, ‘ছোটখাটো উপহার বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে’।
Previous Post
Next Post

post written by: