আসল ১০০০ টাকা ও ৫০০ টাকার নোট চিনার ১২টি উপায়



প্রতিনিয়ত আমাদের অনেকেই আসল ব্যাংক নোট না চিনার কারণে জাল টাকার সমস্যায় পরছেন, প্রতারিত হচ্ছেন। এর উপর আবার জাল টাকা প্রস্তুতকারী প্রতারক দলের সদস্য না হয়েও কিছু নিরীহ মানুষ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে বিব্রত পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

একবার পত্রিকায় পরেছিলাম, কোন এক গ্রামে ( এলাকাটার নাম মনে নাই ) এক বর বিবাহ করে শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছিল পথিমধ্যে এক দোকানে খাবার খেয়ে ৫০০ টাকার নোট দিলে দোকানদার নোটটি জাল হবার কারণে পুলিশকে খবর দিলে তার আর শ্বশুরবাড়ি যাওয়া হয়নি, শ্রীঘরে যেতে হয়েছিল।

আসল নোট চিনার অনেকগুলি উপায় আসে, নিচের ছবি দু'টিতে একেবারে চিহ্নিত করে আসল ৫০০ টাকা এবং ১০০০ টাকার নোট চিনার উপায়গুলি দেয়া আসে।
ছবির লেখাগুলি বুঝতে সমস্যা হলে নিচের লিংক এ ক্লিক করুন।





বাংলাদেশ ব্যাংক হতে পাওয়া তথ্যমতে আসল ১০০০ টাকা নোটে নিম্নের বৈশিষ্টগুলি থাকবেঃ


১) কাগজঃ নোটে বিশেষ প্রলেপযুক্ত উন্নতমানের দীর্ঘস্থায়ী কাগজ ব্যবহার করা হয়েছে। কাগজের সম্মুখ ও পশ্চাৎ উভয় পীঠে বিক্ষপ্তভাবে রঙ্গিন ফ্লোরসেন্ট ফাইবার রয়েছে যা খালি চোখে দেখা যায়না কিন্তু অতি বেগুনি আলোয় দেখলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লাল, নীল ও হলুদ রঙে দৃশ্যমান হবে।

এক নজরে আসল ১০০০ টাকা নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট

২) ইরিডিসেন্ট স্ট্রাইপঃ নোটের পিছনের দিকে বামপাশে খাড়াভাবে BANGLADESH BANK লেখা ৮ মিলিমিটার চওড়া একটি হালকা ইরিডিসেন্ট স্ট্রাইপ আছে যা তির্যকভাবে নড়াচড়া করলে হালকা হলুদ থেকে হালকা নীল রং ধারন করবে।

৩) রং পরিবর্তনশীল কালিঃ
রং পরিবর্তনশীল কালি
নোটের সম্মুখভাগে ডানদিকে উপরের অংশে অঙ্কে লেখা "১০০০" রং পরিবর্তনশীল কালিতে মুদ্রিত যা সরাসরি তাকালে সোনালী এবং তির্যকভাবে তাকালে সবুজ দেখা যাবে।

৪) রং পরিবর্তনশীল নিরাপত্তা সুতাঃ ৪ মিলিমিটার নিরাপত্তা সুতাটি নোটের সামনের দিকে ফোঁড় কেটে সেলাই করার মত রয়েছে। পিছনের দিকে সুতাটি কাগজের ভিতরের দিকে ঢুকানো। নোটটি নড়াচড়া করলে সুতার রং পরিবর্তন হবে। আলোর বিপরীতে উভয় পীঠ হতে সুতাটিতে "১০০০ টাকা" লেখা সংখ্যাটি পড়া যাবে।

জলছাপ
৫) জলছাপঃ নোটে প্রচলিত বাঘের মাথার জলছাপের পরিবর্তে শাপলা ফুলের প্রতিকৃতি জলছাপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের "মনোগ্রাম" ও অংকে "1000" লেখা জলছাপ রয়েছে। মনোগ্রাম ও 1000 লেখা শাপলার চেয়ে বেশি উজ্জ্বল। সকল জলছাপ আলোর বিপরীতে দৃশ্যমান হবে।

৬) অসমতল ছাপাঃ
অসমতল ছাপা
১০০০ টাকা নোট বিশেষ নিরাপত্তামুলক কালিতে ছাপা হয়েছে যা হাত দিয়ে স্পর্শ করলে উঁচুনিচু বা খসখসে অনুভূত হবে। নোটের সম্মুখ ও পশ্চাৎ উভয় পীঠে এরুপ ছাপা রয়েছে।

৭) অন্ধদের জন্য বিন্দুঃ অন্ধরা যাতে বুঝতে পারে সেজন্য বিশেষ নিরাপত্তামুলক কালিতে ছাপা ৫ টি ছোট বৃত্ত রয়েছে যা হাতের স্পর্শে সহজে উচু-নিচু বা খসখসে অনুভুত হবে।

৮) উভয় পীঠ হতে দেখা যায় এমন ফুলের প্রতিকৃতিঃ নোটের সম্মুখ ও পশ্চাৎ উভয় পীঠে একই স্থানে ফুলের আকৃতি মুদ্রিত আছে যা উভয় পীঠ হতে একই স্থানে দেখা যাবে।

৯) অতি ছোট আকারের লেখাঃ নোটের সম্মুখ ও পশ্চাৎ উভয় পীঠে দৃশ্যমান সরু রেখাটিতে BANGLADESH BANK 1000 TAKA অতি সূক্ষ্ম আকারে বারবার লেখা আছে যা শুধুমাত্র আতশি কাঁচ দ্বারা দেখা যাবে।

১০) বিশেষভাবে ১০০০ কথাটির মুদ্রণঃ ছোট আকারের BANGLADESH BANK লেখা দিয়ে নোটের পশ্চাতভাগের বামদিকে নিচে ও ডানদিকে উপরে "1000" মুদ্রিত আছে।

১১) লুকানো ছাপাঃ 
লুকানো ছাপা
এখানে সুপ্ত বা লুকানভাবে "১০০০" মুদ্রিত আছে যা স্বাভাবিক আলোয় তির্যকভাবে তাকালে দেখা যাবে।

১২) নম্বরঃ সিরিজ অপরিবর্তিত রেখে নোটের সম্মুখভাগে বামপাশে নিচে ইংরেজি ও ডানপাশে উপরে বাংলা নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে যাতে কোন একটি নম্বর কেউ উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোন পরিবর্তন করলে সহজেই ধরা পড়বে।

বিশেষভাবে কৃতজ্ঞঃ
Previous Post
Next Post

post written by: