হিডেন ক্যামেরা , এটি এখন আর নতুন কোন নাম নয়। যারা এটার মাধ্যমে ভিক্টিম হয়েছেন তারা ভালো করে জানেন এটি কতটা নিরব ঘাতক। কিছু মানুষ রূপী হিংস্য জানোয়ার এই আধুনিক যন্ত্রটাকে কাজে লাগিয়ে মানুষের
সাথে তামাশা করছে। নারী দেহের প্রতি পুরুষের আকর্ষণ বিধাতা কর্তৃক প্রদত্ত। কিন্তু তা যদি সীমা অতিক্রম করার মত হয় তাহলে তা আলোচিত হওয়ার মতই একটি বিষয় হয়ে দাড়ায়। মেয়েদের পোশাক পরিবর্তন করার স্থানগুলোতে গোপন ক্যামেরা স্থাপন করে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়া আজকের সর্বাধিক আলোচিত একটি ইস্যু। আপনার বোন পোশাক কিনতে গিয়ে কাপড় বদলাচ্ছে, কেউ না কেউ তা দেখছে; ভিডিও করছে। রুমে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে আছেন, রেকর্ড হয়ে স্পেশাল পর্ণ হয়ে কারো বিশাল ব্যবসায় পরিনত হয়ে যাচ্ছে আপনার ভিডিও। আপনি হয়ত জানতেই পারবেন না আপনি পর্ণগ্রাফির মডেল হয়ে গিয়েছেন। আমাদের মা-বোনের ইজ্জত আজ পরিনত হতে চলেছে আরেকজনের মনোরঞ্জনের খোরাকে।
হিডেন ক্যামেরা কোথায় বসান হয়?
গোপন ক্যমেরা কোথায় বসানো হয় তা স্পেসিফিকভাবে বলা মুশকিল। আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না গোপন ক্যামেরা আজকাল কোথায় কোথায় বসান হচ্ছে। সাধারনত যেখানে মেয়েরা কাপড় পাল্টায় যেমন শপিংমলের ফিটিং বা ড্রেসিং রুম, বাথরুম, বিউটি পার্লার এগুলো গোপন ক্যামেরার আইডিয়াল স্থান। এছাড়া, আবাসিক হোটেলগুলোর বেডরুম, বাথরুম ইত্যাদিতেও গোপন ক্যামেরা থাকতে পারে। নিচের ছবিগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন গোপন ক্যামেরা কোথায় কোথায় থাকতে পারে।
গোপন ক্যামেরা খুজে পেতে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ্ধতি। অনেক
ক্যামেরাতে মোশন ডিটেক্টর থাকে অর্থাৎ আপনি যেদিকে যাবেন, ক্যামেরাও সেদিকে
ঘুরে যাবে। এধরনের ক্যামেরা খুজে পেতে প্রথমে রুমের সব জানালা দরজা বন্ধ
করে পুরো রুম অন্ধকার করে কিছু সময় অপেক্ষা করুন। এবার, কোন শব্দ না করে
রুমে এদিক ওদিক যান যাতে করে ক্যামেরা আপনাকে ফলো করে। এবার খুব ভাল করে
খেয়াল করুন ক্যামেরা আপনাকে ফলো করে ঘুরে যাওয়ার সময় কোন শব্দ হচ্ছে
কিনা।
পোস্ট ভাল লাগলে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করুন
সাথে তামাশা করছে। নারী দেহের প্রতি পুরুষের আকর্ষণ বিধাতা কর্তৃক প্রদত্ত। কিন্তু তা যদি সীমা অতিক্রম করার মত হয় তাহলে তা আলোচিত হওয়ার মতই একটি বিষয় হয়ে দাড়ায়। মেয়েদের পোশাক পরিবর্তন করার স্থানগুলোতে গোপন ক্যামেরা স্থাপন করে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়া আজকের সর্বাধিক আলোচিত একটি ইস্যু। আপনার বোন পোশাক কিনতে গিয়ে কাপড় বদলাচ্ছে, কেউ না কেউ তা দেখছে; ভিডিও করছে। রুমে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে আছেন, রেকর্ড হয়ে স্পেশাল পর্ণ হয়ে কারো বিশাল ব্যবসায় পরিনত হয়ে যাচ্ছে আপনার ভিডিও। আপনি হয়ত জানতেই পারবেন না আপনি পর্ণগ্রাফির মডেল হয়ে গিয়েছেন। আমাদের মা-বোনের ইজ্জত আজ পরিনত হতে চলেছে আরেকজনের মনোরঞ্জনের খোরাকে।
হিডেন ক্যামেরা কোথায় বসান হয়?
গোপন ক্যমেরা কোথায় বসানো হয় তা স্পেসিফিকভাবে বলা মুশকিল। আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না গোপন ক্যামেরা আজকাল কোথায় কোথায় বসান হচ্ছে। সাধারনত যেখানে মেয়েরা কাপড় পাল্টায় যেমন শপিংমলের ফিটিং বা ড্রেসিং রুম, বাথরুম, বিউটি পার্লার এগুলো গোপন ক্যামেরার আইডিয়াল স্থান। এছাড়া, আবাসিক হোটেলগুলোর বেডরুম, বাথরুম ইত্যাদিতেও গোপন ক্যামেরা থাকতে পারে। নিচের ছবিগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন গোপন ক্যামেরা কোথায় কোথায় থাকতে পারে।
অনেকক্ষেত্রে
আবার আয়নাকেও হিডেন ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে। এক্ষেত্রে
আয়নাটি ডুয়েল মিরর হিসেবে কাজ করে। ডুয়েল মিররের উল্টোপাশ থেকে আয়নার
এপাশের সবকিছুই স্পষ্টভাবে দেখা যায় সাধারন কাঁচের মত। কিন্তু এপাশ থেকে
দেখলে এটাকে একটা আয়না ছাড়া আর কিছুই মনে হবেনা। অনেক গেস্ট হাউজে এই
ডুয়েল মিররের উল্টোপাশে ক্যামেরা বসিয়ে কাপলদের ক্লিপ রেকর্ড করা হয়।
কিভাবে নিরাপদ থাকব?
- গোপন ক্যামেরা আছে সন্দেহ হলে চারপাশ ভাল করে দেখুন। কোথায় কোথায় গোপন ক্যামেরা থাকতে পারে তা তো দেখলেন। এছাড়াও ছাদের কোণা, দেয়ালের ছবি, ফুলের টব বা সন্দেহজনক সকল স্থান ভাল করে পর্যবেক্ষণ করুন।
- গেস্ট হাউজ বা আবাসিক হোটেলে উঠার পূর্বে সম্ভব হলে একটি Mini hidden camera detector বা RF signal detector কিনে সাথে রাখতে পারেন। এগুলো খুবই ছোট সহজে বহনযোগ্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস।
- মুলত রুমের অন্ধকার স্থানগুলিতে গোপন ক্যামেরা বসানো হয়। রুমের তুলনামুলক অন্ধকার স্থানগুলো ভাল করে দেখে নিন।
অন্ধকারে রাখা হিডেন ক্যামেরার ধারণকৃত দৃশ্য - রুমে যদি আয়না থাকে আর তা যদি আপনার সন্দেহ হয় তাহলে আয়নার উপর একটা আঙ্গুল রাখুন। আপনার আঙ্গুল আর আয়নার আঙ্গুলের প্রতিবিম্বের মাঝখানে যদি কোন ফাক না থাকে অর্থাৎ দুটি আঙ্গুলের মাথা যদি একেবারে একটার সাথে আরেকটা লেগে থাকে তাহলে বুঝবেন এটা ডুয়েল মিরর। আর যদি মুল আঙ্গুল ও আয়নার আঙ্গুলের মাঝে একটু ফাক থাকে তাহলে এটা একটা সাধারন আয়না হিসেবে ধরে নিতে পারেন।
- বেশিরভাগ ক্যামেরার পাওয়ার অন করার পরপরই একটি এলইডি বাতি জ্বলে উঠে। রুম পুরোটা অন্ধকার করে কিছুটা সময় নিন যাতে আপনার চোখে অন্ধকারটা সয়ে যায়। এবার খুব ভাল করে লক্ষ্য করুন লাল, সবুজ বা হাল্কা নীল রঙের আলো কোথাও থেকে বের হচ্ছে কিনা। যদি এমনটি হয়, তাহলে আপনি নিশ্চিত যে সেটা ক্যামেরা।
-
যেখান থেকে কল করা যায়। এবার ট্রায়াল রুমে (যেখানে কাপড় পাল্টাবেন) ঢুকে আপনার মোবাইল থেকে কাউকে কল দেয়ার চেষ্টা করুন। যদি কল করা যায় ও নেটওয়ার্ক থাকে- তাহলে গোপন ক্যামেরা নাই। আর যদি কল করা না যায় ও নেটওয়ার্ক হঠাৎ করে ডাউন হয়ে যায়-তাহলে অবধারিত ভাবে বুঝবেন সেখানে গোপন ক্যামেরা রয়েছে।
গোপন ক্যামেরার সাথে ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল থাকে। সিগন্যাল ট্রান্সফারকরার সময় এর ইন্টারফিয়ারেন্ স হতে থাকে। যার জন্য মোবাইল নেটওয়ার্ক ঐখানে কাজ করেনা। এভাবেই আপনি পারেন গোপন ক্যামেরার নোংরামি থেকে বাঁচতে।
সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে গোপন ক্যামেরার হাত থেকে বাচতে চাইলে আপনার সতর্কতাই যথেষ্ট। সো সতর্ক থাকুন অলটাইম।