১।মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট = বাংলাদেশে সম্প্রতি চালু হয়েছে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) এটা আমরা সবাই জানি। কিন্ত আমরা অনেকেই জানি না কিভাবে পাওয়া যাবে এই পাসপোর্ট।প্রচলিত পাসপোর্টের মতোই দেখতে নতুন এই এমআরপি। কেবল পার্থক্য হলো এই পাসপোর্টে থাকা তথ্য এয়ারপোর্টে থাকা কম্পিউটার পড়তে পারে। চলুন এখন আমরা জেনে নেই কিভাবে পাওয়া যাবে এই মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি)।
কীভাবে পাওয়া যাবে এই পাসপোর্ট :
হাতে লেখা পাসপোর্টের আবেদন ফরমের চেয়ে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্টের আবেদন ফরম কিছুটা ভিন্ন। আগের মতোই ইন্টারনেট থেকে বিনামূল্যে ফরম সংগ্রহ করা যাবে। বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটেই (http://www.dip.gov.bd) এই ফরম পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ঢাকাসহ সারা দেশে ১০টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকেও সংগ্রহ করা যাবে এই ফরম এবং বিনামূল্যেই। তবে, ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত এমআরপির আবেদন ফরমটি নামিয়ে প্রিন্ট করে তাতে হাতে লিখতে হয়। কম্পিউটারে টাইপ করে ফরম পূরণ করার সুযোগ নেই।
কী আছে নতুন আবেদনপত্রে :
চার পৃষ্ঠার এ আবেদনপত্রে আবেদনকারীকে নাম, বাবার নাম, মার নাম, তাদের পেশা, জাতীয়তা, জন্মস্থান, জন্ম তারিখ, জন্ম সনদপত্র নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, যোগাযোগের তথ্য সরবরাহ করতে হবে। এসব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে আবেদনকারীকে নির্দিষ্ট জায়গায় স্বাক্ষর ও তারিখ লিখতে হবে। এ ছাড়া আবেদনকারীকে একটি ৫৫ ী ৪৫ মিলিমিটার আকারের রঙিন ছবি (পাসপোর্ট সাইজ ছবি) ফরমে আঠা দিয়ে লাগানোর পর সত্যায়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে, দুটি আবেদন ফরম পূরণ করে জমা দিতে হবে।
কারা সত্যায়িত করতে পারেন :
আবেদন ফরমের সত্যায়ন করতে পারবেন- ১. সাংসদ ২. সিটি করপোরেশনের মেয়র, ডেপুটি মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর ৩. গেজেটেড কর্মকর্তা ৪. বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ৫. উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ৬. পৌরসভার মেয়র ৭. বেসরকারি কলেজের শিক্ষক ৮. বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ৯. দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ১০. পৌর কাউন্সিলর ১১. রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা করপোরেশনের নতুন জাতীয় বেতন স্কেলের সপ্তম বা তদূর্ধ্ব গ্রেডের কর্মকর্তারা।
পাসপোর্টের খরচ :
এমআরপির জন্য নতুন ফি নির্ধারিত হয়েছে। সাধারণ পাসপোর্টের জন্য তিন হাজার টাকা এবং জরুরি পাসপোর্টের জন্য ছয় হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হবে। টাকা জমা দিতে হবে আগের মতোই সোনালী ব্যাংকের নির্ধারিত শাখায়।
কাগজপত্র যা লাগবে :
সঠিকভাবে পূরণ করা আবেদন ফরমের সঙ্গে প্রার্থীকে আবেদনকারীর একটি রঙিন ছবি আঠা দিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে লাগিয়ে দিতে হবে, সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম সনদপত্রের ফটোকপি। অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৫ বছরের কম) আবেদনকারীর ক্ষেত্রে আবেদনকারীর বাবা ও মায়ের একটি করে রঙিন ছবিও লাগবে।
আবেদনপত্র জমা দেওয়ার আগে :
আবেদন পত্র জমা দেওয়ার আগেই তা নির্দিষ্ট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা এটি ভেরিফিকেশন বা যাচাই করবেন। আবেদপত্রটি ভেরিফিকেশন করানোর আগে এর সঙ্গে ব্যাংককে টাকা জমা দেওয়ার রশিদটি আঠা দিয়ে আবেদন পত্রের সঙ্গে যোগ করে দিতে হবে। এ ছাড়া আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত ছবিটিও যথাযথ কর্মকর্তাকে দিয়ে সত্যায়িত করে নিতে হবে। পাশাপাশি জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপিটিও সত্যায়িত হতে হবে। যদি কারও জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকে তাহলে পাসপোর্ট ফরমের তৃতীয় পৃষ্ঠায় নির্দিষ্ট স্থানে বসবাসরত এলাকার জনপ্রতিধি দ্বারা প্রত্যয়ন করিয়ে নিতে হবে। এমআরপির আবেদন ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাচ্ছে দেশের ১০টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে। প্রতিটি আঞ্চলিক অফিসের অধীনে রয়েছে কয়েকটি জেলা। আঞ্চলিক অফিসগুলো হলো- ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল, রংপুর, যশোর ও গোপালগঞ্জ।
জমা দেবার নিয়মকানুন :
আবেদন পত্রটির ভেরিফিকেশন করে দায়িত্বরত কর্মকর্তা আবেদনপত্র যাচাই করে সিলসহ স্বাক্ষর করবেন। এরপর আবেদনপত্রটি নির্দিষ্ট স্থানে জমা দিতে হবে। পাসপোর্ট অফিসেই খোলা আছে বেশ কয়েকটি বুথ। এসব বুথেই জমা দিতে হবে।
আবেদনপত্রটি জমা দেবার সময় পাসপোর্ট অফিসের দায়িত্বরত ব্যাক্তি আপনার তথ্যগুলো কম্পিউটারে এন্ট্রি করে রাখবেন। এরপর তিনি আপনাকে একটি টোকেন দেবেন। এরপর সে টোকেনসহ আবেদনপত্রটি নিয়ে ছবি তোলার জন্য আরেকজন কর্মকর্তার কাছে যেতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য যেভাবে ছবি তোলা হয়েছিলো, এখানেও একইভাবে নির্দিষ্ট মাপের ছবি তোলা হবে। এছাড়াও দুই হাতের আঙ্গুলের ছাপও দিতে হবে ইলেকট্রনিক মেশিনে । এরপর নেয়া হবে ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর। তবে, ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর আবেদন পত্রের স্বাক্ষরের সঙ্গে যেনো মিল থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এই প্রক্রিয়া শেষে কর্তৃপক্ষ পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য একটি আলাদা ডকুমেন্ট দেবে এবং আবেদনপত্রটি রেখে দিয়ে আপনাকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করার তারিখও জানিয়ে দেবেন।
পাসপোর্ট সংগ্রহ :
কর্তৃপক্ষের দেয়া তারিখে পাসপোর্ট সংগ্রহ করা যাবে। তবে, এই সময়ের মধ্যে অবশ্যই পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষ হতে হবে। পাসপোর্ট দেবার আগে ডিবি পুলিশ বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানায় ভেরিফিকেশন করে। আর পুলিশের রিপোর্ট প্রদানের পরই পাসপোর্ট পাওয়া যায়।
[বিডিনিউজটুয়েন্টিফোর এর সৌজন্যে]
২।এনালগ পাসপোর্ট =
বিদেশ যেতে হলে প্রথমই যে বিষয়টি প্রয়োজন হয়, তা হলো পাসপোর্ট। ব্যবসা, চাকরি, ভ্রমণ, লেখাপড়া যে কারণেই হোক না কেন প্রতিদিন আমাদের বিদেশে পাড়ি জমাতে হচ্ছে। । আসুন জেনে নিই বিস্তারিত- পাসপোর্ট তিন ধরনের হয়ে থাকে
১। আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট (সবার জন্য)
২· বিশেষ পাসপোর্ট (শুধু ভারতে ভ্রমণের জন্য)
৩· লাল পাসপোর্ট (শুধুকূটনৈতিকদের জন্য, যা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিয়ে থাকে)।
পাসপোর্ট বানানোর প্রক্রিয়া :
পাসপোর্ট অফিস থেকে বিনামূল্যে দুটি ফরম সংগ্রহ করুন।
ফরমটি ভালো করে সব তথ্য ঠিকঠাকমতো পূরণ করুন।
আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট দুই ধরনের হয়ে থাকে, ৬৪ পাতা-সংবলিত ও ৪৮ পাতা-সংবলিত।
আপনি কত পাতার পাসপোর্ট করবেন সে অনুযায়ী সোনালী ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখার কাউন্টারে টাকা জমা দিয়ে একটি রশিদ বুঝে নিন। তারপর পূরণ করা পাসপোর্ট ফরম দুটির প্রথম পৃষ্ঠায় একটি করে পাসপোর্ট সাইজের (৪০x৫০ মি· মি·) ছবি আঠা দিয়ে লাগান এবং আরও একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও একটি স্ট্যাম্প সাইজের (৩০x৩০ মি· মি·) ফরমের ওপরে একসঙ্গে পিনআপ করে দিন।
ফরমের ওপরে নির্দিষ্ট জায়গায় সোনালী ব্যাংক থেকে পাওয়া টাকা জমার রশিদটি আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিন। আঠা দিয়ে লাগানো ছবির ওপরে সত্যায়ন করুন এবং সত্যায়নকারী ব্যক্তি দ্বারা তৃতীয় পাতায় নির্ধারিত স্থানপূরণ করুন (সত্যায়নকারীর পদবিসহ নাম, স্বাক্ষর ও সিলমোহর দিতে হবে)। পূরণকৃত ফরমটি পাসপোর্ট অফিসের নির্দিষ্ট বুথে জমা দিয়ে রশিদ বুঝে নিন। রশিদে উল্লিখিত বিতরণের তারিখ অনুযায়ী নির্দিষ্ট বুথ থেকে রশিদ দেখিয়ে পাসপোর্ট গ্রহণ করুন।
আবেদনের সঙ্গে যে কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে:
১। চেয়ারম্যান/ ওয়ার্ড কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত সনদ/ ভোটার আই ডি কার্ড/ জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা বিদ্যুৎ/গ্যাস/ পানির বিল/ বাড়ির দলিলের ফটোকপি (এই কাগজপত্রাদি নিজ নামে না থাকলে পিতার নামে/ মাতার নামে/ স্বামীর নামে থাকতে হবে)।
২। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্র/ পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে।
৩। ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্র/ পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে।
ঢাকার সোনালী ব্যাংকের যে শাখায় পাসপোর্ট ফি জমা নেওয়া হয়
মগবাজার, মালিবাগ, আগারগাঁও শাখা, কলেজগেট মোহাম্মদপুর, সদরঘাট, দিলকুশা, সেগুনবাগিচা, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, মহাখালী ও আওলাদ হোসেন মার্কেট শাখা, ফার্মগেট।
কোথা থেকে পাসপোর্ট বানাতে হবে:
ক· আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস থেকে যাঁরা বানাতে পারবেন
ঢাকা শহরের সবুজবাগ, মতিঝিল, পল্টন, রমনা, শাহবাগ, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, মোহাম্মদপুর, আদাবর, মিরপুর, শাহ আলী, পল্লবী, কাফরুল, তেজগাঁও, গুলশান, বাড্ডা, খিলগাঁও, ক্যান্টনমেন্ট, খিলক্ষেত, উত্তরা, দক্ষিণখান, উত্তরখান, জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, তুরাগ, আশুলিয়া, সাভার ও ধামরাই থানা এলাকার বসবাসকারীরা এখান থেকে পাসপোর্ট বানাতে পারবেন।
খ· ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে যাঁরা বানাতে পারবেন
ঢাকা মহানগরের ও জেলার বাকি ১০টি থানা যেমন- দোহার, কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও ঢাকা মহানগরের শ্যামপুর, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, সূত্রাপুর, কোতোয়ালি, লালবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় বসবাসকারীরা ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে পাসপোর্ট বানাতে পারবেন।
গ· বাংলাদেশে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসগুলো:
দেশের বিভিন্ন জেলায় বসবাসকারীরা নিচের আঞ্চলিক অফিস থেকে পাসপোর্ট বানাতে পারবেন-
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, চট্টগ্রাম, ফোনঃ ০৩১ ২৫৫০০১০।
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, রাজশাহী, ফোনঃ ০৭২১ ৭৭২২৪৮।
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, বরিশাল, ফোনঃ ০৪৩১ ৬৪৫৪৯।
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, সিলেট, ফোনঃ ০৮২১ ৭১৪০২২।
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, খুলনা, ফোনঃ ০৪১ ৭৩২১৪৬।
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, ময়মনসিংহ, ফোনঃ ০৯১ ৬৬৩৫৭।
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, যশোর, ফোনঃ ০৪২১ ৬৮৫১০।
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, নোয়াখালী, ফোনঃ ০৩২১ ৬১৭০৪।
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, রংপুর, ফোনঃ ০৫২১ ৬৫২৫০।
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, কুমিল্লা, ফোনঃ ০৮১ ৬৫৭৮৫।
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, ফরিদপুর, ফোনঃ ০৬৩১ ৬২৭৮৭।
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, গোপালগঞ্জ, ফোনঃ ০৬৬৮ ৫৭০৮৯। আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, সিরাজগঞ্জ, ফোনঃ ০৭৫১ ৬২৯০৩।
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, হবিগঞ্জ, ফোনঃ ০৮৩১ ৫২৮৯৪।
ঘ· এ ছাড়া প্রতিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাসপোর্টের আলাদা শাখা আছে, সেখান থেকে ওই জেলায় বসবাসকারীরা পাসপোর্ট বানাতে পারবেন।
ঙ· প্রতিটি জেলার জিপিও থেকে পাসপোর্ট বানাতে পারবেন।
চ· ঢাকায় জিপিও ছাড়াও ঢাকার যেসব ডাকঘর থেকে পাসপোর্ট বানাতে পারবেন- ক্যান্টনমেন্ট পোস্ট অফিস, মিরপুর-২ সাব পোস্ট অফিস, নিউ মার্কেট সাব পোস্ট অফিস, উত্তরা সাব পোস্ট অফিস, মোহাম্মদপুর সাব পোস্ট অফিস, খিলগাঁও সাব পোস্ট অফিস, গুলশান সাব পোস্ট অফিস, বনানী সাব পোস্ট অফিস, সদরঘাট সাব পোস্ট অফিস, ওয়ারী সাব পোস্ট অফিস ও ডেমরা সাব পোস্ট অফিস।
ছ· ট্রাস্ট ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা থেকে পাসপোর্ট বানাতে পারবেন।
শাখাগুলো হচ্ছে- দিলকুশা কর্পোরেট শাখা, গুলশান কর্পোরেট শাখা, উত্তরা কর্পোরেট শাখা, ধানমন্ডি কর্পোরেট শাখা, মিলিনিয়াম কর্পোরেট শাখা, কাওরানবাজার শাখা, মিরপুর শাখা, জয়পাড়া শাখা, দোহার শাখা, ঢাকা; আগ্রাবাদ শাখা, চট্টগ্রাম; সিডি এভিনিউ শাখা, চট্টগ্রাম; কুমিল্লা সেনানিবাস শাখা, কুমিল্লা; ফেনী শাখা, সিলেট; কর্পোরেট শাখা, বিয়ানীবাজার শাখা, সিলেট; গোয়ালাবাজার শাখা, সিলেট; মৌলভীবাজার শাখা, খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ শাখা ও এনায়েতপুর শাখা সিরাজগঞ্জ।
ওয়ানস্টপ সার্ভিস
ওয়ানস্টপ সার্ভিস পাওয়ার জন্য আপনাকে সাধারণ পাসপোর্টের মতোই ফরম সংগ্রহ করা জমাসহ সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে হবে।
ফির পরিমাণঃ
৬৪ পাতার জন্য ৬০০০ হাজার টাকা, ৪৮ পাতার জন্য ৫০০০ হাজার টাকা, পাসপোর্ট পেতে সময় লাগবে ২-৩ ঘণ্টা
।
যেকোনো ধরনের ভুল সংশোধন করলে ফি লাগবে ৫০০ টাকা।
নবায়ন করলে ফি লাগবে ২,৫০০ টাকা।
উল্লেখ্য, ওয়ানস্টপ সার্ভিস প্রদান করে পুলিশ ভেরিফিকেশন পাঠানো হয়। যদি বিরূপ প্রতিবেদন পাওয়া যায় তাহলে পাসপোর্ট বাতিল করা হয়।
নবায়ন করতে হলে:
পাসপোর্টের পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হলে সেই পাসপোর্টই পুনরায় আরও পাঁচ বছর বাড়িয়ে নেওয়া যায়।
এ ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের দ্বিতীয় অংশসহ (নবায়ন) পূরণ করে নবায়নের জন্য নির্ধারিত ফি জমা দেওয়ার রশিদসহ যে অফিস থেকে পাসপোর্ট তোলা হয়েছিল সেই অফিসে জমা দিতে হবে। পাসপোর্টের মেয়াদ ১০ বছর পূর্ণ হলে সেই পাসপোর্টকে জমা দিয়ে নতুন পাসপোর্ট নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের নির্ধারিত অনুচ্ছেদ পূরণ করে ১০ বছর উত্তীর্ণ হওয়ার পর এর জন্য নির্ধারিত ফি জমা দেওয়ার রশিদ এবং সারেন্ডার করা পাসপোর্টসহ আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। বিদেশে থাকা অবস্থায় পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হলে নবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসে যোগাযোগ করতে হবে। যদি সে দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস না থাকে তবে নিকটস্থ অন্য কোনো দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকেও পাসপোর্ট নবায়ন করা যাবে।
পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে
পাসপোর্ট হারিয়ে বা চুরি হয়ে গেলে যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ থানায় পাসপোর্টের নাম, নম্বরসহ সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। আবেদনপত্রের প্রথম অংশের হারানো পাসপোর্টের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট অনুচ্ছেদ পূরণ করে বিকল্প পাসপোর্টের জন্য নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে সেই রশিদ, আবেদনপত্র এবং জিডি এন্ট্রি কপি হারিয়ে যাওয়া পাসপোর্টটি যে অফিস থেকে তোলা হয়িছিল সে অফিসেই জমা দিতে হবে। জরুরি হলে ৭-১৫ দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে। বিদেশে থাকা অবস্থায় পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে নিকটস্থ পুলিশকে জানাতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসে যোগাযোগ করতে হবে। যদি সে দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস না থাকে তবে নিকটস্থ অন্য কোনো দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকেও পাসপোর্ট করা যাবে।
পাসপোর্ট-সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
১· আবেদনকারী নির্ধারিত আবেদন ফরম অথবা আবেদন ফরমের অবিকল টাইপ/ সাইক্লোস্টাইল/ ফটোকপিকৃত ফরমেও আবেদন করতে পারবেন।
২· আবেদন ফরমটি ইংরেজি অথবা বাংলায় পূরণ করতে পারবেন।
৩· আবেদনকারীকে তিনটি পাসপোর্ট সাইজের (৪০ঢ৪০ মি·মি·) ও একটি স্ট্যাপ সাইজ (৩০ ঢ ৩০ মি·মি·) দরকার। একটি করে ৪০ ঢ ৫০ মি·মি· আকারের ছবি দুটি আবেদনপত্রের প্রতিটির প্রথম পৃষ্ঠার নির্দিষ্ট স্থানে লাগাতে হবে এবং সত্যায়ন করতে হবে।
৪· ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের পৃথক পাসপোর্টর ক্ষেত্রে মা ও বাবা দুজনের অথবা বৈধ অভিভাবকের ৩০ ঢ ৩০ মি·মি· আকারের ছবি দুটি আবেদনপত্রের প্রতিটি প্রথম পৃষ্ঠার নির্দিষ্ট স্থানে লাগাতে হবে এবং সত্যায়ন করতে হবে।
৫· প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ভোটার আইডি কার্ড (যদি থাকে), অথবা প্রাসঙ্গিক কারিগরি সনদগুলোর (যেমন- ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভার ইত্যাদি)
৬· নতুন পাসপোর্টে ১২ বছরের কম বয়সী সন্তানের নাম অন্তভুêক্তির ক্ষেত্রে চার কপি ৩০ ঢ ৩০ মি·মি· আকারের ছবি লাগাবে। দুটি ফরমেই প্রতিজনের একটি করে ছবি লাগিয়ে ছবির ওপরে সত্যায়ন করতে হবে ও দুটি অতিরিক্ত ছবি দিতে হবে (ফরমের প্রথম অংশের ২৩ নম্বর এন্ট্রি দ্রষ্টব্য)।
৭· বিদ্যমান পাসপোর্টে ১২ বছরের কম বয়সী সন্তানদের নাম সংযোজনের ক্ষেত্রে চার কপি ৩০ ঢ ৩০ মি·মি· আকারের ছবি লাগাবে। দুটি ফরমেই প্রতিজনের একটি করে ছবি লাগিয়ে ছবির ওপরে সত্যায়ন করতে হবে ও দুটি অতিরিক্ত ছবি জমা দিতে হবে (ফরমের প্রথম অংশের ২৩ নম্বর এন্ট্রি দ্রষ্টব্য)
৮· ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের প্রথম অংশের
১৪, ১৫, ১৬ নম্বর এন্ট্রি পূরণপূর্বক পিতা অথবা মাতা অথবা বৈধ অভিভাবক স্বাক্ষর করবেন।
৯· আবেদনপত্রের চতুর্থ অংশ (অঙ্গীকার) এবং ষষ্ঠ অংশের নির্ধারিত স্থানে আবেদনকারীকে দুই স্থানে একই ধরনের স্বাক্ষর বা টিপসই দিতে হবে।
বক্সের ভেতরের স্বাক্ষর বা টিপসইটি পাসপোর্টে লাগানো হবে।
১০· নিম্নেবর্ণিত ব্যক্তিরা পাসপোর্টের আবেদনপত্র ও ছবি সত্যায়ন করতে পারবেন-
সংসদ সদস্য, সিটি করপোরেশনের মেয়র, ডেপুটি মেয়র ও কমিশনার, গেজেটেড কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা, বেসরকারি কলেজের শিক্ষক, বেসরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক, পৌর কমিশনাররা, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা করপোরেশনের নতুন জাতীয় স্কেলের সপ্তম ও তদূর্ধ্ব গ্রেডের কর্মকর্তারা।
১১· আবেদন ফরমে আঠা দিয়ে লাগানো ছবির ওপরে এমনভাবে সত্যায়ন করতে হবে, যাতে সত্যায়নকারীর স্বাক্ষর ও সিলমোহর ছবির ও ফরমের কিছু অংশজুড়ে পড়ে এবং একই কর্মকর্তা ছবির ওপরে ও ফরমের পঞ্চম অংশে সত্যায়ন করবেন।
১২· নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার সনদ অথবা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের হলফনামা (এভিডেভিট) অথবা পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি আবশ্যক হবে।
১৩· বয়স সংশোধনের ক্ষেত্রে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার সনদ অথবা জন্ম সনদ অথবা জন্ম নিবন্ধীকরণ সনদ আবশ্যক হবে।
১৪· পেশা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পরিবর্তিত পেশার সপক্ষে সনদ আবশ্যক হবে।
১৫· স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ভোটার তালিকা অথবা ভোটার পরিচয়পত্র অথবা ফরমের ১০ নম্বর অনুচ্ছেদে তালিকাভুক্ত ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক প্রদত্ত সনদ অথবা পরিবর্তিত ঠিকানা সম্পর্কে যেকোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণ আবশ্যক হবে।
১৬· সন্তানের নাম সংযোজনের ক্ষেত্রে ওই সন্তানের জন্ম সনদ আবেদনপত্রের সঙ্গে দাখিল করতে হবে।
সেবার সময়
ফরম বিতরণ ও জমা নেওয়া হয় প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে দুপুর ১·৩০ মিনিট পর্যন্ত। আর পাসপোর্ট বিতরণ করা হয় সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। সরকারি ছুটির দিন (শুক্র ও শনিবার) বাদ দিয়ে সপ্তাহের বাকি পাঁচ দিন খোলা থাকে।
যেকোনো ধরনের অভিযোগ
কোনো ধরনের অভিযোগ থাকলে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস আগারগাঁও, ঢাকার উপপরিচালক (কক্ষ-২০৩, দ্বিতীয় তলা)। ফোনঃ ৮১৫৯৫২৫।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মে ২৬, ২০০৯
নির্দেশকাঃ
ন্যাশনাল আইডি কার্ড না থাকলে জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট দিয়ে করা যাবে।
আর পাসপোর্ট করতে হলে আপনার জেলার পাসপোর্ট অফিস থেকে ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে। বা ওয়েবসাইট থেকেই পারবেন। এরপর ফর্মের মধ্যেই সব দেয়া থাকবে কিভাবে কি করবেন। ফর্ম কিন্তু বিনামূল্যে দেবে।এবং একই ফর্ম ২টা দিবে। ২টাই পূরন করতে হবে। ছবি দিতে হবে, তবে পাসপোর্টের জন্য ( মেশিন রিডেবল ) একটি নির্দিষ্ট দিনে পাসপোর্ট অফিসে আপনার আলাদা ছবি এবং ফিন্গার প্রিনট নিবে।
অবশ্য কি কি করতে হবে, সব অফিস থেকেই বলে দেবে ফর্ম জমা দেয়ার সময়