তথ্য বেরিয়ে আসে।
উক্ত ভয়াবহ জালিয়াতির সাথে সংশ্লিষ্ট মোশাররফ নামক এক ব্যক্তি, যিনি তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করেছেন, টিভি প্রতিবেদনে তিনি পুরো প্রক্রিয়াটির বর্ণনা দিয়েছেন। এতে দেখা যায়, প্রথমেই ভুয়া পরিচয় চিয়ে এটিএম বুথে নিজেদের গোপন ক্যামেরা ও নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন (এনএফসি) ডিভাইস (বিশেষ অবস্থানে) লাগানো হয়। এর সাথে এটিএম কার্ড স্পর্শ করালেই (অথবা রেঞ্জের মধ্যে এলে) কার্ডের ম্যাগনেটিক ফিল্ড থেকে টেকনিক্যাল তথ্যসমূহ কপি হয়ে প্রতারক চক্রের নিকট চলে যায়। তখন এগুলো ব্যবহার করে হুবহু আরেকটি কার্ড তৈরি হয়। আর ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহারকারী এটিএম পাসওয়ার্ড ইনপুট দেয়ার সময় মেশিনের উপরের/পাশের ওয়ালে রাখা ক্যামেরায় তার ভিডিও রেকর্ড রাখা হয়। সবশেষে ডুপ্লিকেট কার্ড এবং ভিডিও থেকে সংগৃহীত পাসওয়ার্ড নিয়ে সংশ্লিষ্ট একাউন্ট থেকে টাকা তোলা সম্ভব হয়।
এ বিষয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব কমিউনিকেশন জীশান কিংশুক হক ইনডিপেন্ডেন্ট টিভিকে বলেন, এই জালিয়াতির পদ্ধতি তাদের কাছে নতুন। গোয়েন্দা পুলিশের উপ -কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম জানান, প্রযুক্তি নির্ভর আর্থিক অপরাধ ঠেকাতে ব্যাংকগুলোকে নিরাপত্তার বিষয়ে আরো ভাবতে হবে।