Walton Primo X2 ইতিমধ্যে এর Specification, Feature, Design এবং স্থায়িত্বের ক্ষমতা বলে বাংলাদেশের বাজারে নিজেকে অনেকটা সরগরম করে রেখেছে। এর (সুবিধা, সমস্যা, সমাধান) নিয়ে আজ আমি আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো। Walton এর অফিসিয়াল সাইটে দেওয়া Walton Primo X2 ফটো।
প্রথমে চলুন সংক্ষেপে দেখে নেই ডিভাইসটির Specification.
Company/Brand | Walton |
Type | Smartphone |
OS | Android 4.2.1 |
Price | Apprx 30-32K TK (BDT) |
Announced | Coming on this August |
Hype | 3/5 |
Processor | Quad- core 1.5GHz Cortex A7 |
GPU | PowerVR SGX544MP |
RAM | 2 GB |
Battery | 2020 mAH |
Primary Camera | 13 megapixel |
Secondary Camera | 5 megapixel |
Weight | 128g |
Dimensions | 144 x 69 x7.7mm |
Main Display | 5.0-inch AMOLED, 441 ppi, Full-HD |
In-Built Storage | 32GB |
Special Features | Motion Gestures |
এর Feature সম্পর্কে জানুন নিচের ফটোগুলির মাধ্যমেঃ
এর Technical Specification সম্পর্কে জানুন এই লিঙ্ক থেকে।
আর Walton এর অফিসিয়াল সাইটে থেকে primo x2 কে জানতে ভিজিট করুন - Walton Primo X2
*** আমরা গোপন সুত্রে জানতে পারি যে Walton Primo X2 ডিভাইস টি চাইনিজ কোম্পানি Gionee E Life E6 মডেল এর কপি। এবং সেই অনুযায়ী আমরা স্পেকস লিক করছি। তবে কোন প্রকার পরিবর্তন কিংবা কোন কিছুর জন্যে আমরা দায়ি নই।***
আসুন দেখে নেই ডিভাইসটির ভিডিও প্রিভিউ এবং কেন এবং কিভাবে আমরা বলছি যে Gionee E Life E6 এর কপি।
এই লিঙ্কে দেখুন Gionee Elife E6 এর Tv Ad ।
Walton Primo X2 নিয়ে আরও ভিডিও দেখুন এই লিঙ্কগুলো তেঃ
Link 1 Introducing with smart features
Link 2 Tv Add Walton Primo X2
Walton Primo X2 এর সাথে যে সকল মোবাইল এর কমপেয়ার করা যায় তা হলোঃ
GIONEE Elife E6 Full Specifications and Features:
- Display 5-inch FHD Capacitive Touch Screen (1920 x 1080)
- Processor Quad Core 1.5 GHz Cortex A7 Processor
- RAM 2 GB
- Internal Memory 32 GB (Not Expandable)
- Rear Camera 13 Megapixel
- Front Camera 5 Megapixel
- Connectivity USB, Bluetooth 4.0, Wi-Fi 802.11, GPS, EGPRS, HSDPA, GPS/AGPS and 3.5 mm Audio Jack, HSUPA.
- Meadia Feature MP3 Player, Video Player, FM Radio and HD Gaming
- Sensors Barometer, Proximity Sensor, Accelerometer, Gyroscope, Magnetometer and Ambient light sensor
- Operating System Android 4.2 Jelly Bean OS
- Battery 2000 mAh Li-Ion Battery
- Price in Bd 28,963 Taka
Samsung Glaxy S4 VS Walton Primo X2
Price: 63500 Tk
Camera: 13 Megapixel || Video: Yes, 1080p, 30fps Secondary 2 MP || Video: Yes1080p@30fps
Internet: GPRS: Yes || EDGE: Yes, 3G, 4G, Wi-Fi 802.11 a/b/g/n/ac, dual-band, DLNA, Wi-Fi Direct
FM Radio: No
Audio Player: MP3, WAV, eAAC+, AC3, FLAC
Video Player: MP4, DivX, XviD, WMV, H.264, H.263
Memory: 16/32/64 GB Internal, 2 GB RAM
Memory Slot: MicroSD card slot Expandable up to 64GB
Bluetooth: Yes, v4.0 with A2DP, EDR, LE
USB: Yes, microUSB v2.0 (MHL 2), USB On-the-go, USB Host
Infrared: No
Weight: 130 g
Status: Available
Display: 5.00″ Super AMOLED (1920px * 1080px) Capacitive Full Multi Touch
Talk Time: 17 Hours
Stand By: 370 Hours
Browser: HTML5
Java: Yes, via Java MIDP emulator
Others: Android v4.2.2 (Jelly Bean), Quad-core 1.6 GHz Processor, Corning Gorilla Glass 3.
Simultaneous HD video and image recording, geo-tagging, touch focus, face and smile detection,
image stabilization, HDR, Accelerometer, gyro, proximity sensor, compass
2.Walton Primo X2s features:
Price: 23990 Tk
Camera: 13 Megapixel || Video: Yes, 1080p, 30fps Secondary 5 MP || Video: Yes1080p@30fps
Internet GPRS:Yes || EDGE: Yes, 3G, Wi-Fi b/g/n
FM Radio: No
Audio Player: MP3
Video Player: MP4
Memory: 32GB Internal, 2 GB RAM
Bluetooth: Yes, v4.0
USB: Yes, microUSB v2.0
Infrared: No
Weight: 128 gm
Status: Available
Display: 5.00″ TFT (1920px * 1080px) Capacitive Full Multi Touch
Browser: HTML
Java: No
Othes: Android v4.2.1 (Jelly Bean), Quad-Core 1.5GHz Processor, 2150mAh Battery, Compass, Proximity sensor,
Accelerometer, Ambient light sensor, Gyroscope, 3rd generation gorilla
- আমি মনে করি Walton Primo X2 হচ্ছে Gionee Elife E6 এর কার্বন কপি।
- Walton Primo X2 / Gionee Elife E6 এর সাথে যে সকল মোবাইল এর কমপেয়ার করা যায় ফটো এর মাধ্যমে তুলে ধরা হলোঃ
- Micromax Canvas Turbo Vs Gionee Elife E6 Intex Aqua I7 Vs Gionee Elife E6
-
Samsung Glaxy S4 Vs Gionee Elife E6 দেখুন নিচের লিঙ্কেঃ - এখানে
- Apple Iphone 5S Vs Gionee Elife E6 দেখুন নিচের লিঙ্কেঃ
- এখানে
- Walton Primo X2 রিভিউ ঃ 1
বিল্ড কোয়ালিটি ও ডিজাইন
ডিজাইনের দিক দিয়ে Waton Primo X2 ফোনটিকে একটি বার ফোন বলা যায় যার বিল্ড কোয়ালিটি এক কথায় অসাধারণ। ফোনটির পুরো বডিটাই আমাদের কাছে বেশ মজবুত মনে হয়েছে। অসাবধানতাবসত হাত থেকে পড়ে গেলেও ডিভাইসটির ক্ষতি হবার সম্ভাবনা কম।
সাদা ও কালো দুটি রং এই বের হওয়া এই ডিভাইসটির দৈর্ঘ্য ১৪২.৪ মিলিমিটার, প্রস্থ ৬৯.৪ মিলিমিটার এবং পুরুত্ব মাত্র ৭.৮ মিলিমিটার। অর্থাৎ বিল্ড কোয়ালিটির পাশাপাশি এর ডিজানটিও স্লিম হওয়ায় ডিভাইসটি দেখতে বেশ স্টাইলিশ।
তবে এর ডিজাইনের একটি সীমাবদ্ধতা হলো এর কোন আলাদা ব্যাক কভার নেই, অর্থাৎ ডিভাইসটি আপনি খুলতে পারবেন না। অনেকটা ট্যাবলেট কম্পিউটারের মত নন-রিমুভেবল ব্যাটারির কারণে পুরো ডিভাইসটিই ফিক্সড। একারণে এর সিম স্লটও ডিভাইসটির বাইরে রাখা হয়েছে।
সিপিইউ ও জিপিইউ
Walton Primo X2 ডিভাইসটিতে দেয়া হয়েছে করটেক্স এ৭ ভিত্তিক মিডিয়াটেক ১.৫ গিগাহার্জ এমটি৬৫৮৯টি (MT6589T) কোয়াড কোর প্রসেসর। অনেকেরই ধারণা এটি সম্পূর্ন আলাদা একটি প্রসেসর যা অনেকটা ভুল। কারণ এই প্রসেসরটি মূলত মিডিয়াটেক এর আগের সেই এমটি৬৫৮৯ (MT6589) সিপিইউটিরই ওভারক্লকড সংস্করণ। ফলে এতে আগের প্রসেসরটির চেয়ে কিছুটা বেশি পারফরম্যান্স পাওয়া সম্ভব হবে।
এছাড়া জিপিইউ হিসেবে দেয়া হয়েছে সেই আগের পাওয়ারভিআর এসজিএক্স৫৪৪এমপি (PowerVR SGX544MP) জিপিইউটিই। এমটি৬৫৮৯ এর টার্বো সংস্করণের পাশাপাশি পাওয়ারভিআর এসজিএক্স৫৪৪এমপি জিপিইউ মিলে ডিভাইসটিতে বেশ ভালই পারফরম্যান্স পাওয়া যাবে। তবে ফুল এইচডি রেজলুশনের জন্য এই চিপসেটটি আমাদের কাছে পুরোপুরি উপযুক্ত মনে হয়নি, সে ব্যাপারে বিস্তারিত সামনেই থাকছে।
র্যাম ও রম
Walton Primo X2 তে দেয়া হয়েছে ২ গিগাবাইটের হাই স্পিড র্যাম। তবে ২ গিগাবাইটের পুরোটা আপনি ব্যবহার করতে পারবেন না। এর মাঝে ১.৯২ গিগাবাইট ব্যবহারযোগ্য।ডিভাইসটির আরেকটি আকর্ষণীয় দিক হলো এতে এবার ৩২ গিগাবাইটের রম দিয়েছে ওয়াল্টন যা দেশীয় ব্র্যান্ডের ডিভাইসগুলোর মাঝে প্রথম। এই ৩২ গিগাবাইটের মাঝে আপনি ৩ গিগাবাইট অ্যাপ্লিকেশন ইন্সটল করার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। আর ২৫ গিগাবাইট থাকবে আপনার ডিভাইসের মূল এসডি হিসেবে।
ডিসপ্লে ও টাচ রেসপন্স
Walton Primo X2 ডিভাইসটির অন্যতম আকর্ষণ হলো এর ডিসপ্লে। এতে সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে দেয়া না হলেও প্রায় একই কোয়ালিটির ৫ ইঞ্চি প্রশস্ত ২য় জেনারেশন Vivid IPS ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। আর সাথে ৩য় জেনারেশনের গোরিলা গ্লাস তো আছেই।ডিসপ্লেটির চারপাশে ২.৫২ মিলিমিটারের একটি ফ্রেমও রয়েছে যা ডিভাইসটির সৌন্দর্য্য আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এছাড়া পিওর ব্ল্যাক লেভেল এর ডিসপ্লে ও গোরিলা গ্লাস থাকায় ডিসপ্লেটি বন্ধ থাকা অবস্থায়ও ডিভাইসটি বেশ আকর্ষণীয় মনে হয়।
তবে সবচেয়ে বড় চমক রয়েছে এর রেজলুশনে, কারণ এটাই দেশীয় ব্র্যান্ডের প্রথম ফোন যাতে ফুল এইচডি ডিসপ্লে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ এর রেজলুশন ১৯২০x১০৮০ যা বর্তমানে দেশের বাজারে খুব কম ডিভাইসেই রয়েছে।
এছাড়া এর টাচ রেসপন্সও অসাধারণ। ইউজার ইন্টারফেস এ আমরা টাচের ক্ষেত্রে কোন প্রকার ল্যাগ পাইনি। তবে গেমিং এর ক্ষেত্রে রেজলুশন বেশি হবায় তখন কিছুটা ল্যাগ দেখা দেয়। সে ব্যাপারে গেমিং এই আলোচনা করছি।
তবে ডিসপ্লেটির কোয়ালিটি, ব্রাইটনেস ও ভিউইং অ্যাঙ্গেল বিবেচনায় একে কোন অংশেই সুপার অ্যামোলেড থেকে খারাপ মনে হয়নি। এছাড়া পিপিআই ৪৪১ হবার কারণে ডিসপ্লেটি যেকোন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদেরই নজর কাড়বে বলে আমাদের মনে হয়। আইপিএস ডিসপ্লে এর মাঝে রেটিং করলে একে নিঃসন্দেহে ৫ এ ৫ ই দেয়া যায়।
ইউজার ইন্টারফেস
ওয়াল্টন তাদের প্রায় সবগুলো ডিভাইসেই বেশি কোন কাস্টমাইজেশন ছাড়াই মোটামুটি স্টক অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করলেও Walton Primo X2 এর ক্ষেত্রে তারা এবার ভিন্ন পথে গিয়েছে। কারণ Walton Primo X2 তে এবার ব্যবহার করা হয়েছে পুরোপুরি কাস্টমাইজ করা এক নতুন ইউজার ইন্টারফেস।Walton Primo X2 এর এই নতুন ইউজার ইন্টারফেসটা অনেকটা MUSE ইউজার ইন্টারফেস এর মত হলেও Symphony Xplorer ZII এর মত নয়। Symphony Xplorer ZII এর ইউজার ইন্টারফেস অনেকটাই আইফোনের মত। কারণ এতে হোমস্ক্রিণেই সব অ্যাপ্লিকেশন ও মেনু চলে আসে, আলাদা কোন মেনু থাকেনা। ফলে অনেকেই এতে বিরক্ত হন।
তবে ওয়াল্টন এমনটি করেনি। ওয়াল্টনের এই কাস্টমাইজ করা ইউজার ইন্টারফেসটি অনেকটা স্টক অ্যান্ড্রয়েড এর মতই, অর্থাৎ এতে আলাদা মেনুও রয়েছে। শুধুমাত্র আইকন, ডিসপ্লে ইফেক্টস এবং মেনু ও অ্যাপ্লিকেশনগুলোর ইন্টারফেসেই বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে ওয়াল্টন। যেমন এর নটিফিকেশন বারটি পুরোপুরি Cyanogenmod 10.1 এর মত, যা আমাদের বেশ অবাক করেছে।
এর গ্যালারি অ্যাপ্লিকেশনটিও অন্যান্য
অ্যান্ড্রয়েড এর থেকে কিছুটা ভিন্ন। অন্যান্য ডিভাইসে যেখানে একসাথে সব
অ্যালবাম দেখায় সেখানে Walton Primo X2 এর গ্যালারিতে আপনি নির্দিষ্ট
ফোল্ডার বাছাই করে রাখতে পারবেন। মেনুতে গেলে আপনি সবগুলো ফোল্ডার পেয়ে
যাবেন, সেখান থেকে আপনার পছন্দমত যেকোনটি বাছাই করে রাখতে পারবেন।
এছাড়া এর ইউজার ইন্টারফেসে বেশ কিছু চমৎকার ইফেক্টও যুক্ত করা হয়েছে।
ক্যামেরা
Walton Primo X2 ফোনটির আরেকটি অন্যতম আকর্ষণ হলো এর ক্যামেরা। Walton Primo X2 তে দেয়া হয়েছে CMOS সেন্সর, BSI 2 ও ব্লু গ্লাস বিশিষ্ট ১৩ মেগাপিক্সেল অটোফোকাস রিয়ার ক্যামেরা যার মাধ্যমে ফুল এইচডি অর্থাৎ ১০৮০পি তেই ভিডিও রেকর্ডং সম্ভব। অর্থাৎ এটি ১৯২০x১০৮০ রেজলুশনের ভিডিও ধারণ করতে সক্ষম।এর ক্যামেরা ইন্টারফেসও বাজারে থাকা অন্যান্য দেশীয় ব্র্যান্ডের ডিভাইসের থেকে অনেক বেশি অপশন রয়েছে। যেমন এতে জায়রোস্কোপিক EIS (Electronic Image Stabilization) রয়েছে। এছাড়া স্থির ছবি তোলার জন্য HDR Mode, Burst Mode, Gesture Camera, Smiling Photographs, Face Tracking এর মত দারুন কিছু অপশনও রয়েছে।
রিয়ার ক্যামেরা তো গেল, এবার ফ্রন্ট ক্যামেরাতে আসা যাক। Walton Primo X2 তে ফ্রন্ট ক্যামেরা হিসেবেও দেয়া হয়েছে ৫ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা যার মাধ্যমে ৭২০পি এর ভিডিও রেকর্ডিং সম্ভব। ক্যামেরাটির কোয়ালিটি বেশ ভাল হওয়ায় ভিডিও কলিং এর পাশাপাশি এর সাহায্যে কিউআর কোড পড়তেও খুব একটা সমস্যা হয়না।
অডিও ও ভিডিও
অডিও তথা সাউন্ড কোয়ালিটির ক্ষেত্রেও ডিভাইসটি যে কারও মন জয় করতে সক্ষম। ডিভাইসটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ডিটিএস সাউন্ড টেকনোলজি যার কারণে ডিভাইসটির মাধ্যমে আপনি ক্রিস্টাল ক্লিয়ার সাউন্ড এর অভিজ্ঞতা পাবেন। এছাড়া হাই ডেফিনিশন অডিও থাকার ফলে আপনি আপনার মনমতই বেজ ও ট্রেবল পাবেন। মিউজিকপ্রেমীদের কাছে নিঃসন্দেহে এটি একটি আদর্শ ডিভাইস হতে পারে।এবার ভিডিও তে আসা যাক। ভিডিও নিয়ে অবশ্য খুব বেশি কিছু বলার নেই, করণ আপনি ইতিমধ্যেই জেনে গেছেন ডিভাইসটির রেজলুশন ১৯২০x১০৮০ অর্থাৎ ফুল এইচডি এর এর ক্যামেরার সাহায্যে ১০৮০পি এর ভিডিও রেকর্ডং ও সম্ভব। অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন এর মাধ্যমে সহজেই ১০৮০পি এর ভিডিও প্লেব্যাক করা সম্ভব।
বেঞ্চমার্ক
একটি ডিভাইসের ক্ষমতা ঠিক কতটুকু সেটি পরিমাপ করতেই মূলত বেঞ্চমার্ক করা হয়ে থাকে। আর বেঞ্চমার্ক অ্যাপ্লিকেশনগুলোর মাঝে বর্তমানে Antutu Benchmark অ্যাপ্লিকেশনটিই সবচেয়ে জনপ্রিয়। তাই Walton Primo X2 ডিভাইসটি বেঞ্চমার্ক করার জন্য প্রথমেই আমরা Antutu Benchmark ব্যবহার করেছি।Walton Primo X2 এর বেঞ্চমার্ক স্কোর এসেছে ১৪৪৯০ বা প্রায় ১৪৫০০ এর কাছাকাছি। ডিভাইসটির চিপসেট হলো মিডিয়াটেক এমটি৬৫৮৯ এরই ওভারক্লকড সংস্করণ। ফলে শুধু এমটি৬৫৮৯ এর স্কোর ১৩ হাজারের কাছাকাছি এলেও এর টার্বো সংস্করণে স্কোর এসেছে ১৪,৪৯০। কর্টেক্স এ৭ ভিত্তিক প্রসেসর এর দিক দিয়ে এই স্কোরকে বেশ ভালই বলা চলে।
এবার আসা যাক Nenamark2 বেঞ্চমার্কে। রেজলুশনের তুলনায় এর চিপসেট কতটা উপযুক্ত সেটা নিয়ে উপরে আমরা বেশ কয়েকবারই সন্দেহ প্রকাশ করেছি। এবার এই বেঞ্চমার্কের মাধ্যমেই সেটি জানা যাবে।
স্ক্রিনশটেই দেখতে পারছেন ১৯২০x১০৮০ রেজলুশনে Walton Primo X2 এর বেস্ট বেঞ্চমার্ক স্কোর এসেছে মাত্র ৩৩.৯ যাকে এমন অসাধারণ বিল্ড কোয়ালিটির ডিভাইসের তুলনায় বেশ কমই বলা যায়। যদিও ওয়াল্টন এর এই ডিভাইসটিতে এমটি৬৫৮৯টি অর্থাৎ টার্বো সংস্করণের চিপসেট ব্যবহার করা হয়েছে, তবুও ১৯২০x১০৮০ রেজলুশন এর কোন ডিভাইসে জন্য এই চিপসেট দেয়া আমাদের কাছে যুক্তিযত মনে হয়নি। তবে রেজলুশন কমিয়ে নিলে ডিভাইসটির মাধ্যমে আপনি ঠিকই ৬০ এর উপরে এফপিএস পাবেন।
গেমিং
এখনকার প্রজন্ম অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে যেসব কাজ করে থাকে তার মাঝে গেমিং অন্যতম। আর একটি ডিভাইস ঠিক কতটা শক্তিশালী তা উপলব্ধি করার জন্য গেমিং এর মাধ্যমে টেস্ট করাটা বেশ কার্যকরী। কারণ উচ্চক্ষমতার গেমগুলো চালানোর জন্য যেকোন ডিভাইসের সর্বোচ্চ ক্ষমতার প্রয়োগ দেখা যায়। আর ২ গিগাবাইট র্যাম, টার্বো সংস্করণের কোয়াড কোর সিপিইউ এর সাথে পাওয়ারভিআর এসজিএক্স৫৪৪এমপি জিপিইউ থাকার কারনে হাতে কলমে এটিকে গেমারদের জন্য সম্পূর্ন উপযোগী একটি ডিভাইসই বলা চলে।কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হলো শুধুমাত্র ফুল এইচডি রেজলুশন দেয়ার কারণে গেমাররা গেমিং এর জন্য আদর্শ স্পেসিফিকেশন এর এই ডিভাইস থেকে এইচপি গেম খেলার ক্ষেত্রে তেমন একটা পারফরম্যান্স পাবেন না। কারণ অতিরিক্ত বেশি রেজলুশনের কারণে আপনার এফপিএস কিছুটা স্কিপ করবে । তবে এফপিএস কম আসলেও ডিভাইসটির মাধ্যমে আপনি উচ্চ গ্রাফিক্সের স্বাদ যে পুরোপুরি ুউপভোগ করতে পারবেন সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। তাছাড়া হতাশ হবারও খুব বেশি কারণ নেই, কারণ প্রায় সবরকম জনপ্রিয় গেমেরই আলাদা মড থাকে যেটি ডাউনলোড করে আপনি রেজলুশন কমিয়ে উচ্চ গ্রাফিক্সে কোনরকম ল্যাগ ছাড়াই ৬০ এর উপর এফপিএস -এ খেলতে পারবেন।
এছাড়া Walton Primo X2 তে আমরা Temple Run 2, Despicable Me 2, Into The Dead, Dead Trigger এর মত ছোট গেমগুলো কোনরকম ল্যাগ ছাড়াই ফুল গ্রাফিক্সে খেলে দেখেছি। তবে সময় স্বল্পতার কারণে এইচডি গেমগুলোর ভেতর ডিভাইসটিতে শুধুমাত্র Real Racing 3 ও NFS Most Wanted গেম দুটিই আমরা টেস্ট করে দেখতে সক্ষম হয়েছি। হাই গ্রাফিক্স ও স্পেশাল ইফেক্ট পুরোপুরি আসলেও সেই রেজলুশনের কারণে এফপিএস কম হওয়ায় কিছুটা ল্যাগ দেখা যায়। তবে NFS Most Wanted এর রেজলুশন কমিয়ে খেলার Mod টি আমাদের কাছে থাকায় আমরা সেটি ইন্সটল করেও টেস্ট করেছি। ৭২০পি তে খেললে কোনরকম ল্যাগ ছাড়াই প্রায় ৫৪ এফপিএস এই উচ্চ গ্রাফিক্সে গেমটি খেলা সম্ভব।
কানেক্টিভিটি, সেন্সর ও অন্যান্য
একটি সিম ব্যবহারের সুবিধাসম্পন্ন Walton Primo X2 -তে প্রায় সকল কানেকটিভিটি সুবিধাই দেয়া হয়েছে। ব্লুটুথ ভার্সন ৪, ওয়াইফাই, জিপিএসসহ প্রায় সবই রয়েছে এই ডিভাইসে। তবে আরেকটি চমৎকার ব্যাপার হলো এতে ওয়াইফাই ডিরেক্ট সুবিধাও যা Symphony Xplorer ZII তে ছিলনা। অর্থাৎ আপনি সহজেই Walton Primo X2 -তে ওয়াইফাই ডিরেক্ট সুবিধা সম্পন্ন অন্যান্য ডিভাইসের সাথে সংযোগ স্থাপন করে উচ্চ গতিতে ডাটা আদান প্রদান করতে পারবেন।এছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য এতে ওয়াইফাই, জিপিআরএস/এজ এর পাশাপাশি ৩জি প্রযুক্তি দেয়া আছে। আছে ৩জি ব্যবহার করে ন্যাটিভ ভিডিও কলিং এর সুবিধাও। অর্থাৎ ভিডিও কলিং এর জন্য আপনাকে আলাদা কোন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে হবে না, ৩জি ব্যবহার করে আপনি সরাসরিই ভিডিও কল করতে পারবেন।
এবার আসা যাক সেন্সর এর দিকে। পূর্বে সেন্সর নিয়ে কেউ মাথা না ঘামালেও বর্তমানে অনেকেই সেন্সর এর প্রতি গুরুত্ব দিয়ে ডিভাইস কিনছেন। এদিক দিয়ে Walton Primo X2 তে প্রায় সবরকম সেন্সরই রয়েছে। অ্যাক্সেলেরোমিটার সেন্সর, প্রক্সিমিটি সেন্সর, অ্যাম্বিয়েন্ট লাইট সেন্সর, রোটেশন ভেক্টর সেন্সর, কম্পাস সেন্সর, ম্যাগনেটিক সেন্সর সহ প্রয়োজনীয় প্রায় সবরকম সেন্সরই ডিভাইসটিতে উপস্থিত। আর অনেকেই সেন্সর নিয়ে যে কমন প্রশ্নটি করে থাকেন তা হলো ডিভাইসে জায়রোস্কোপ আছে কিনা। তাদের আনন্দের সাথেই জানাচ্ছি ডিভাইসটিতে জায়রোস্কোপও রয়েছে।
এছাড়া এর ব্রাউজিং পারফরম্যান্সও বেশ সন্তোষজনক। ক্রোম কিংবা ফায়ারফক্স ব্রাউজার তো বটেই, এর ডিফল্ট ব্রাউজারের মাধ্যমেই বেশ ভাল গতিতেই আপনি ব্রাউজ করতে পারবেন। তাছাড়া ইবুক পড়ার জন্যও ডিভাইসটি বেশ উপযুক্ত। ৫ ইঞ্চি প্রশস্ত ডিসপ্লে থাকার ফলে এটিকে ফ্যাবলেটই বলা যায়। তাই বই পড়ার জন্যও নিঃসন্দেহে এটি একটি দারুন ডিভাইস।
ব্যাটারি ব্যাকআপ
Walton Primo X2 -তে দেয়া হয়েছে ২১৫০ mAh এর লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। ৫ ইঞ্চি প্রসস্ত ডিসপ্লের জন্য এই ব্যাটারিকে বেশ ভালই বলা চলে। টানা ডিসপ্লে অন করে কাজ করলে এতে আপনি ৭-৮ ঘন্টার মত ব্যাকআপ পাবেন, আর হাই গ্রাফিক্সের গেম খেলার ক্ষেত্রে পাবেন প্রায় ৪-৫ ঘন্টা ব্যাকআপ।তবে সাধারণভাবে ব্যবহার করলে দিনে ১ বার চার্জ করাই যথেষ্ট। অর্থাৎ একটু যত্ন সহকারে ব্যবহার করলে দিনে ১ বার চার্জ দিয়েই আপনি অনায়াসেই ২৪ ঘন্টা ব্যবহার করতে পারবেন।
বিল্ড কোয়ালিটি এবং ডিজাইনঃ
প্রথম এই
ফোনটার Build Quality’র কথা বলি, Walton Primo X2 একটি বার ফোন, এর গঠন
নিঃসন্দেহে অনেক আকর্ষণী। ফোনটা অনেক স্লীম, Display এর পাশের বার ফোনটাতে
এনে দিয়েছে Perfection,অনেকটা দেখতে iPhone 5 এর মত এই ফোনটাও লম্বাটে,
হাতে নিলে ফোনটা অনেক হাল্কা বোঝা যায়। ফোনে রয়েছে তিনটা capacitive
button (settings, home, exit/back) যেগুলাও বেশ Stylish, রয়েছে তিনটা
Physical button (Volume up, down, Power)। Power Button এর পাশেই 3.5mm
অডিও জ্যাক। ফোনের বাম পাশে রয়েছে একটা Micro Sim Slot আছে; যা ফোনের
প্যাকেটে থাকা পিন দিয়ে খুলতে হয়, নিচে রয়েছে দুই পাশে স্পিকার গ্রীল যা
খানিকটা Style এর জন্য করা বলা যায়, কেননা শুধুমাত্র ডান পাশের স্পিকার
গ্রীল দিয়ে সাউন্ড বের হয়, স্পিকার গ্রীল দুটোর মাঝখানে রয়েছে
charging/data cable পোর্ট, সাদা রং এর এক্স-২ এর পিছন দিকটা চকচকে এবং
কালো রংয়ের এক্স-২ এ ম্যাট ফিনিশিং দেওয়া। দুইটাতেই খুবই ভাল মানের
প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়েছে, যা মোটামুটি ভালভাবে Scratch Proof।
ডিসপ্লে, টাচ্ ও ইউজার ইন্টারফেসঃ
X-2 এর আমার
কাছে সবচেয়ে পছন্দের বিষয় হল এর Display; 1080p Full HD resolution 16m
color [OGS Technology (single lair)] প্রায় 180 ডিগ্রী Viewing angle যা
মোটামুটি পাগল করার মতই। আমি কখনও ভাবি নাই যে বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড গুলো
ছাড়া কোন Chineese Device নিয়া এই কথা বলব, Display’টা অনায়সে Head2Head
Xperia V/T/S এমনকি Z এর সাথে তুলনা করা যায়! Touch Response অসাধারণ,
Gaming এর সময়ে Multi-Touch পাঁচ আঙ্গুল পর্যন্ত সুন্দরভাবে কাজ করে, টাইপ
করার সময়টাতেই আসলে বুঝা যায় টাচ’টা কতটা চমৎকার।
1080p
Original Bluray Software Decoding দিলে smoothly চলে। Walton Primo X2 এর
ডিসপ্লে color নিয়ে যে কোন স্মার্ট ফোনের সাথে head2head combat এ যাওয়া
যায় (অবশ্য S4 বাদে)।
তবে একটা বিষয় পরিষ্কার নয় আমার কাছে; ফোনটাতে Gorilla Glass 3 থাকার উল্লেখ থাকলেও ফোনটা Scratch
Resistive না, কেননা Screen-protector ছাড়া ব্যাবহার করলে Screen এ দাগ
পড়ে। আরো উদ্বেগজনক বিষয় হল, এখন পর্যন্ত কয়েকজনের Display ভাঙ্গার খবরও
পাওয়া গেছে, যদিও তা খুব শক্ত আঘাত ছিল কিনা সেটি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে
নাহ। অবশ্য, তার মানে এই নয় আপনার ফোনটি আছাড় দিয়ে Gorilla Glass
পরীক্ষা করতে হবে। আর বলে রাখি, যদি কোন ভাবে ফোনের ডিসপ্লেটি ভেঙ্গে যায়;
সেক্ষেত্রে আপনার ওয়াল্টন কেয়ার থেকে পুরো ডিসপ্লে ও প্রটেক্টিং গ্লাসসহ
বদলিয়ে নিতে হবে যার জন্যে আপনার খরচ পড়বে ১০০৮০ টাকা এবং সার্ভিসিং চার্জ আরো ৩০০ টাকা।
ইউজার
ইন্টারফেস / UI-তে আমরা Gionee Elife e6 এ যে Amigo UI দেখেছিলাম YouTube
ভিডিওতে, Walton Primo X-2 তে আসলে তা ব্যাবহার করা হয়নি। Walton Primo
X2’তে Stock Jelly Bean UI কিছুটা Customize করে ব্যাবহার করা হয়েছে ।
Settings
App’টি Gionee থেকে দেখানো সেই একই App কিন্তু অজ্ঞাত কারনে app/running এ
scrolling করার সময় অনেক Laggy। Overall রোমটা আমার মনে হল ভাল ভাবে
Optimized করা না, কারন Walton F-2, F-1, H-2 এর কথা বাদই দিলাম, Symphony
Xplorer W65, তার ২৫৬ mb ram নিয়ে Jellybean একদম buttery smooth ভাবে
চালায়; সেখানে এক্স-২ এর Simple Stock jellybean 4.2.1 চালাতে বেগ পাওয়ার
কথা না!
Smat Gesture ও অন্যান্যঃ
Walton X-2 তে
নতুন যোগ করা হয়েছে Smart Gesture। আসলে অপশনটাকে এখনও পরিক্ষাধীন বলা
চলে, কারন এটি সব সময় ব্যাবহার করার মত Perfect এখনও হয়নি। মূলত Smart
Gesture এই Feature’টা কোন সেন্সর দিয়ে কাজ করে না । কাজ করে সামনের
ক্যামেরা দিয়ে, তাই low-light কন্ডিশনে এই অপশনটা ঠিক মত কাজ করে না । Day
light কন্ডিশনে কাজ করলেও, 1m-25cm দূর থেকে কাজ করতে হয় যা প্রতিদিনকার
ব্যবহারের জন্যে ততটা উপযোগী নয় কিন্তু কাউকে দেখিয়ে তাক লাগিয়ে দাওয়ার
জন্য যথেষ্ট। কিন্তু low-light পরিবেশে Magic দেখাতে গিয়ে বিব্রতকর
অবস্থায় পড়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। আরেকটা অপশন Smart answer, Smart dial
যা অনেক সময় ঠিক মত কাজ করে না যেটা খুব বিরক্তিকর । একই কথা বলব Smart
Play/pause নিয়া, Show Off করার জন্য ভাল কিন্তু Practically ব্যবহারের
জন্যে Awesome পারফর্মেন্স আছে সেটা বলা যাবে নাহ।
CPU, GPU, Processor ও অন্যান্যঃ
Performance
এর ব্যাপারে বলতে হয় এক্স-২ 1080p Hull HD, 2gb Hi-Speed ram দেওয়া একটা
Flagship device থেকে USER যা আশা করে তা দিতে পারে নাই । হাঁ, ফোন’টা গেম
installing, app run এবং loading time, startup time etc দিক দিয়ে যথেষ্ট
ফাস্ট; বস্তুত MT6589 Turbo 1.5 GHZ CPU’টা আসলে MT6589 CPU এর Over
clocked version। “MT6589T Cortex A-7 NEON CPU” নিয়ে মুল জানার বিষয় হোল
এই CPU নামে আসলে Quad core হলেও বস্তুত stable quad core এর মত আচরন করে
না । এটার মিনিমাম CPU Frequency 497MHZ, ম্যাক্সিমাম 1508 MHZ; সাধারনত
যেকোন Stable Quad core CPU’তে ৪টা কোর যদি সর্বনিম্ন frequency তেও
অ্যাক্টিভ থাকে, তবেই Buttery Smooth Performance পাওয়া যায় কিন্তু
MT6589T এদিক দিয়ে ব্যাতিক্রম। এই CPU এর একটা কোর সবসময় Stable থাকে,
মোটামুটি দরকারে দ্বিতীয় কোরটা কাজ করে, বাকি দুইটা খুব দরকারে কাজ করার
কথা হলেও কখনো কখনো কাজ করতে দেখা যায় না! ফল সরূপ মাঝে মাঝে UI একটু lag
করে।
Walton Primo
X2-তে GPU ব্যাবহার করা হয়েছে PowerVR SGX544MP, যেটা একটা Single core
GPU যাকিনা ১৯২০x১০৮০ resolution-এ HD গেম চালানর জন্য পুরোপুরি উপযুক্ত,
একথা বলা যাবে না। সব HD game ভাল গ্রাফিক্সে চললেও মাঝে মাঝে Frame-Drop
লক্ষ্য করা যায়, কাজেই SGX544MP GPU এর জন্য 540p Display resolution-এ
খেলাই সবচেয়ে ভাল। HD game গুলার resolution কমিয়ে নিলেই আর কোন সমস্যা
হবে না । Normally Dead Trigger, Shadow Gun, Modern Combat 3: Fallen
Nation, Modern Combat 4: ZERO HOUR, Temple Run (ALL Version), Subway
Surfer ইত্যাদি game নরম্যালি High resolution-এ lag ছাড়াই খেলা যায়,
কিন্তু তবুও যারা Hard Core Gaming পছন্দ করেন তাদের এই ডিভাইস পছন্দ নাও
হতে পারে। অবশ্য, আপনি যদি X2 ইতিমধ্যে কিনে ফেলে থাকেন তাহলে চিন্তা করার
কিছু নাই, খানিকটা লো-সেটিংসে খেলুন; সব গেমই ভাল ভাবে খেলতে পারবেন।
X2 তে
Multi-tasking করে অনেক মজা, ২জিবি High Speed Ram থাকায় অনেক অ্যাপ
মিনিমাইজ করে রাখা যায়, চেক করার জন্য আমি অনেক গুলা App, Game, Browser
মিনিমাইজ করে দেখেছি এবং ফলাফল অসাধারণ, সবগুলা অ্যাপ, game, browser অনেক
ফাস্ট ম্যাক্সিমাইজ হচ্ছিল আর কোনটাই Crash বা lag করে নাই। খুব ভাল ভাবেই
resume হয়, ফোন এ সব সময় ১জিবি’র মত র্যাম ফ্রী থাকে। আর বলে রাখি, ফোনটি OTG সাপোর্ট করে নাহ।
ইন্টারনেট ব্রাউজিংঃ
এই ফোনে
Browsing করা যায় খুব ভাল ভাবে, ব্রাউজার ট্যাব সুইচ করা , নিউ ট্যাব খোলা
এবং অন্যান্য কাজগুলা Buttery Smooth ভাবে হয়, ওয়াইফাই দিয়ে X-2 ডাটা
ডাউনলোড স্টার্ট করলে অন্য অনেক ডিভাইসই স্পীদ পায় না যা দেখে বুঝা যায়
এই ডিভাইসটার ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক সিস্টেম বেশ ভাল।
3g/2g সিম
internet সংযোগ এ Oparator যতদূর সাপোর্ট দিতে পারে এক্স-২ তত ফাস্ট Browse
করতে পারে,ইন্টারনেট ব্যাবহার করার ক্ষেত্রে মজার বেপার হল Display
Quality,resolution এর জন্য এবং Super High PPI (~441) হওয়ায় ফন্ট এর
Sharpness,content/pic এর গ্রাফিক্স এক কথায় Awesome, কিন্তু অনেক বড় কোন
পেজ অনেক ফাস্ট scroll করতে গেলে একটু load নিয়ে তারপর ক্লিয়ার হয়, যা
হয়তোবা কেউ এত Hi-End Device এ আশা করেন না। কিন্তু OverAll অভিজ্ঞতা
খারাপ বলা যাবে না , আমি এক্স-২ এর ব্রাউজিং নিয়ে খুশি।
ক্যামেরা ও সেন্সরঃ
X-2 এর camera
নিয়া বলতে গেলে, বলতেই হয় ক্যামেরাটা অনেক ভাল। Camera app, Still
picture, Low light short distance picture, Full HD Video capture এসব
বিষয়ে ক্যামেরাটা অসাধারণ। মাঝে মাঝে পারফর্মেন্স খারাপ মনে হলেও যেকোন
বিখ্যাত ব্র্যান্ডের ডিভাইস, যেমনঃ Samsung Galaxy S3, Xperia V/Z, HTC
One X এগুলোর পাশে রাখলে আপনি বলতে বাধ্য হবেন, বলতে Camera’টা আসলাই ভাল।
আমি এক্স-২ এর ক্যামেরায় ভালভাবে Impressed, 13mp cam +android 4.2.1
options like best shot, smile shot, panaroma shot, mono, hdr ইত্যাদি
অপশন মিলে এক অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা দেয় ডিভাইসটা। Camerar Flash Light টাও
অনেক Powerful, সুতরাং পুরা অন্ধকার রুমেও ছবি বেশ ভালই আসে। পিছনের
ক্যামেরার কথা বলছিলাম এতক্ষণ, এবার সামনের ক্যামেরার কথায় আসা যাক;
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, যেখানে এক্সপেরিয়া Z Ultra’তেও 2mp cam দেওয়া
সেখানে এক্স-২ তে ব্যবহারকরা হয়েছে ৫ মেগামিক্সেল ক্যামেরা। যা এক কথায়
অসাধারণ, সামনের camera’টা এতই ভাল যে মাঝে মাঝে দরকার হলে
সেল্ফ-প্রোট্রেইট তোলার দরকার হলে সামনের ক্যামেরাই ব্যবহার করা যাবে।
ফোনের সবগুলা
sensor ভাল ভাবে কাজ করে এবং খুবই সাছন্দ্যের সাথে, এক্স-২ এর GPS অনেক
accurate ভাবে কাজ করে। Gyroscope সেন্সর, লাইট সেন্সর, Accelerometer 3d,
Proximity সবগুলা সেন্সব Super Perfection এর সাথে কাজ করে।
অডিও এবং ভিডিও কোয়ালিটিঃ
Speaker এর
ডিফল্ট সাউন্ড অনেক কম, পরে অবশ্য ঠিক করা নেওয়ার উপায় আছে। আর Headphone
এর সাউন্ডেরও একই অবস্থা, Built-in অবস্থায় সুবিধাজনক না। যদিও সাউন্ড
quality আমার কিছু প্রচেষ্টার পর এখন অনেক ভাল হয়েছে। Pimp My Beats,
Xperia Clear Audio+ এবং XLoud install করার পর সাউন্ড কোয়ালিটি বেশ
উন্নতি হয়েছে। ডিভাইস টার Sqlite3 Database optimize, Ext4File System
Tweeks, Zipaligh Optimization, Entropy Optimization করলে Performance আরো
অনেক ভাল পাওয়া যায়। আগেই বলছি রোম টা ভাল ভাবে Build করা না, I hope
আগামী রোম আপডেট এ এই প্রব্লেম গুলা দুর হবে,এক্স-২ এর Default Music
Player টা অনেক ভাল।
এক্স-২ মেমোরি
কার্ড সাপোর্ট করেনা প্রথমে একটু প্রব্লেম মনে হলেও এখন মনে হছে 24gb
internal Sd,ar 3gb app storage প্রয়েজন এর চেয়ে অনেক বেশি ,ফোন এর কল এর
সাউন্ড quality অনেক ভাল । কখনও Unusual call drop দেখি নাই, ফোন এর
Built-in কল অ্যাপ টা অনেক ভাল। কল Recorder এর মত কতগুলা অপশন Integrated
এবং চরম ভাবে কাজ করে, Default Messaging app টাও অনেক জোশ।
আর ভিডিও কোয়ালিটি বলতে হয় চমৎকার। পুরোপুরি HD ভিডিও চলে একদম অনায়সে। তাই আপনি মিউজিক ভিডিও বা মুভি দেখতে পারবেন আরামসে।
ব্যাটারীঃ
Walton Primo
X2 এর ফোনের ব্যাটারি সাপোর্ট বলতেই হবে বেশ খারাপ, একদমই আশানুরুপ নয়।
নরমাল ব্যাবহারে পুরো একটা দিনের কাছাকাছিও চার্জ থাকে না (1 hour gaming, 1
hour internet browsing, voice call, music play)। তবে এর ভাল দিক হোল,
খুব তাড়াতাড়ি চার্জ ফুল্ হয়ে যায়, মাত্র 1:30 ঘণ্টার মধ্যেই ফোন ফুল
চার্জ হয়ে যায়। ফোনটা ইন্টারনেট Browsing (2g/3g cellular network),
গেমিং এ মোটামুটি অনেক গরম হয়। অবশ্য গরম কমবেশি সব ফোনেই হয়। কাজেই এটি
নিয়ে ভীত হবার কিছু নাই। তবে খেয়াল রাখবেন ফোন চার্জে রেখে কথা বলবেন
নাহ, এটি ব্যাটারী এবং আপনার জন্য ক্ষতির কারন হতে পারে।
ব্যাটারী একটু
অপটিমাইজড করে ব্যবহার করলে আশা করা যায় পারফর্মেন্স ভাল হবে।
অপটিমাইজড্ মানে যেমন ধরুন; Bluetooth, Wifi, Hotspot এসব প্রয়োজন ছাড়া
বন্ধ রাখলেন। ডিসপ্লে ব্রাইটনেস ফুল না রেখে আটোমেটিকে রাখলেন।
অপ্রয়োজনীয় Apps বা উইজেট বন্ধ করে রাখুন আর সব থেকে গুরুত্ব পূর্ন অংশ
হল, যদি প্রয়োজনীয় না হয় তবে আপনার ফোনের ইন্টারনেট ডাটা কানেকশনটি সব
সময় সক্রিয় রাখবেন নাহ, দরকার পড়লে চট্ করে সক্রিয় করে কাজ সেরে নিয়ে
আবার নিষ্ক্রিয় করে রাখুন। এতে করে প্রতিদিনকার ব্যাটারী লাইফ প্রায় ৫০%
পর্যন্ত বাড়ানো যায়। আর ফোনের ব্যাটারী অকারনে চার্জিংয়ে রাখবেন নাহ।
চেষ্টা করুন একবারে ফুল চার্জ দিয়ে তা আবার খালি (২৫% থাকা অবস্থাতে
চার্জিং দিয়ে দেওয়া ভাল) হলে পরে চার্জে দিন।
বেঞ্চমার্ক টেষ্ট রেজাল্টঃ
সব শেষে দেখুন বেঞ্চমার্ক রেজাল্ট। নিজেই রেজাল্ট গুলো দেখুন, কেমন করেছে প্রিমো এক্স ২।