পর্ব- ১ ওডেস্ক সবচেয়ে বড় অনলাইন জব মার্কেটপ্লেস। এই মার্কেটপ্লেসটি সম্পর্কে
যাদের এখনও পর্যন্ত ক্লিয়ার কোন ধারনা নেই-তাদের কথা চিন্তা করেই এই লেখাটা
লিখেছি।ওডেস্কে বিভিন্ন বায়াররা তাদের জব পোস্ট করে এবং
ফ্রীল্যন্সাররা তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী বিভিন্ন জবে বিড(অ্যাপ্লাই) করে।
প্রত্যেক কনট্রাক্টরদের(ফ্রীল্যন্সার) একটি প্রোফাইল থাকতে হয় ওডেস্কে
বিভিন্ন জবে বিড মারার জন্য। সেইসব প্রোফাইলে তাদের স্কিলস, পরিচিতি,
পোর্টফোলিও
ইত্যাদি রাখতে হয় যা দেখে বায়াররা তাদেরকে জব দিতে আগ্রহী হয়। এখন ধরেন, ওডেস্কে একজন বায়ার একটি জব পোস্ট করল যে, তাকে একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে দিতে হবে যার বাজেট ৫০০ ডলার। সে আরও বলে দিল এই কাজের জন্য আপনাকে HTML, CSS, Photoshop, WordPress, PHP এ দক্ষ হতে হবে। ধরেন, আপনি সবগুলোতেই এক্সপার্ট। তাই, আপনি এই জবে অ্যাপ্লাই করতে চান। এজন্য আপনাকে একটি কাভার লেটার লিখে সেটিসহ জবটির জন্য অ্যাপ্লাই করতে হবে। কাভার লেটারে আপনি সিমপ্লি আপনার স্কিলগুলোর কথা বলবেন যা যা চাওয়া হয়েছে।
জবটি রিলেটেড আপনার কিছু কাজের উদাহরন দেখাবেন। এখন এরকম ১টি জবে ধরেন ১৫০ জন অ্যাপ্লাই করেছে। কিন্তু, জবটি পাবে একজন। তাহলে বায়ার কাকে পছন্দ করবেন? প্রথমত, যাদের কাভার লেটার ভালো লাগবে, তাদের প্রত্যেকের প্রোফাইলেই বায়ার ভিসিট করবে। এরপর, যার প্রোফাইলে গিয়ে দেখবেন বায়াররের জব সম্পর্কিত কোন কাজ সে ওডেস্কে আগে করেছে এবং সবগুলো কাজেই তার ফিডব্যাক বেশি, তাকেই বায়ার পছন্দ করবেন। এই ফিডব্যাক জিনিসটা হল, কনট্রাক্টররা কাজ শেষ করে জমা দেবার পর বায়াররা জবটি অফিসিয়ালভাবে সমাপ্ত ঘোষণা করে এবং কাজটি কেমন হয়েছে, ঠিক সময়ে(ডেডলাইন) কাজটি শেষ হয়েছে কিনা ইত্যাদি কিছু বিষয়ের উপর ভিত্তি করে কনট্রাক্টরদের একটি ফিডব্যাক প্রদান করে(যার সর্বোচ্চ মান ৫)। যেসব কনট্রাক্টরদের প্রোফাইলে বড় বাজেটের কাজগুলোতে ফিডব্যাক বেশি থাকে(৪.৬-৫.০), সেসব কনট্রাক্টররাই বায়ারদের প্রথম পছন্দে থাকে। এখন ধরেন, আপনি ওডেস্কে নতুন যোগ দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে আপনার প্রোফাইলে তো বায়াররা ওডেস্কের কোন জব হিস্টোরি দেখবেন না। তাহলে, তারা কেন আপনাকে পছন্দ করবেন? নতুন হিসাবে বায়ারদেরকে আপনার প্রতি আকৃষ্ট করতে আপনি তাই ওডেস্কে বিভিন্ন স্কিলের উপর এক্সাম দিতে পারেন।
এগুলোতে আপনার যদি রেসাল্ট খুব ভালো থাকে(যেমন ওডেস্ক স্কিল টেস্টে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে টপ ১০%-২০%-এ আপনার অবস্থান থাকে) তাহলে বায়াররা আপনার প্রতি আগ্রহী হতে পারবে সহজেই। যেমন, আলোচ্য জব পোস্টদাতা বায়ার যদি আপনার প্রোফাইলে গিয়ে দেখে আপনার প্রোফাইলটা নতুন কিন্তু, অন্তত HTML, CSS, Photoshop, WordPress এ আপনার এক্সাম দেয়া আছে এবং প্রত্যেকটি বিষয়েই আপনার রেসাল্ট খুবই ভালো, তাহলে বায়ার বুঝবে যে, আপনি ওডেস্কে নতুন হলেও আপনি আসলে দক্ষ এবং জবটির জন্য উপযুক্ত। সেক্ষেত্রে, বায়ার আপনাকে কাজটি দিতে আগ্রহী হবে। আর পরীক্ষাগুলো নিয়ে টেনশনের কিছু নেই। পরীক্ষাগুলো আপনি বাসায় বসে অনলাইনে ওদের ওয়েবসাইটেই দিতে পারবেন এবং প্রশ্ন একটু কঠিন হলেও আপনি যদি সত্যিই দক্ষ হোন, তাহলে ওগুলায় ভালো রেসাল্ট করা কোন ব্যাপারই না আপনার জন্য।
আর আপনি যেহেতু নতুন, তাই অন্যান্য অভিজ্ঞদের চেয়ে সামান্য কমে বিড মারতে পারেন প্রথমে। যেমন, আলোচ্য ঐ কাজটিতে যদি দেখেন অ্যাভারেজ বিড হয়েছে ৪৮০ ডলারে তাহলে আপনি বিড মারতে পারেন ৪৭০ ডলারে। তবে, বাজেটের চেয়ে খুব বেশি কমে কখনোই বিড মারবেন না। এটি হিতে বিপরীতও হতে পারে। বায়াররা ভাববে, থিউরিটিকালভাবে আপনি দক্ষ হলেও প্র্যক্টিকাল কাজ সম্পর্কে আপনার কোন ধারনাই নেই এবং এজন্য কাজগুলোর বাজারমূল্য সম্পর্কেও তাই আপনার ধারনা নেই। আবার খারাপ বায়াররা আপনার এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে আপনাকে অল্প টাকায় মাত্রাতিরিক্ত কাজ করিয়ে নিবে এবং অনন্যা বায়াররা আপনার প্রোফাইলে যখন দেখবে, আপনি অনেক বড় কাজ অনেক অল্প টাকায় করেছেন, তখন আপনার কাজের মান নিয়ে তাদের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হবে। ফলশ্রুতিতে, আপনাকে সারাজীবন অল্প টাকার কাজগুলোই করে যেতে হবে!
এবার আসি ওডেস্কের জব টাইপ নিয়ে। ওডেস্কে ২ টাইপের জব পোস্ট হয়। একটি হল Fixed Job আরেকটি হল Hourly Job
সাধারনত, ওডেস্কের পেমেন্ট গ্যারান্টেড। তবে, ফিক্সড কিছু কাজে রিস্ক থাকে। hourly কাজগুলোতে আপনি পেমেন্ট পাবেন ১০০% নিশ্চিত। আর fixed কাজগুলতেও আসলে সাধারনত রিস্ক থাকে না। তবে, যেসব বায়ারের পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড না(একজন বায়ারের জবে অ্যাপ্লাই করার সময় বায়ারের পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড কিনা তা দেখা যায়, পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড হল, একজন বায়ারকে ওডেস্কে নির্দিষ্ট কিছু পরিমান ডলার আগে জমা রাখতে হয় যার মাধ্যমে সে সবাইকে বোঝাতে সক্ষম হয় যে সে ফেক কোন পার্সন নয় এবং সে সত্যিকারভাবে বিজনেস করতেই এখানে এসেছে)। যাদের পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড না, তাদের কাজ করা উচিত না কারোই। আর ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইনের বায়ারদেরও কাজ করা উচিত না কারন তারা সবসময় অল্প টাকায় অনেক কাজ করিয়ে নিতে চায় এবং তাদের প্রতি বিভিন্ন অভিযোগও অনেক বেশি।
ওডেস্কে কাজ করে ডলার তো অনেক পেলেন ভারচুয়ালি, এবার হাত দিয়ে সত্যি সত্যি ধরে দেখবেন কীভাবে ? বাংলাদেশে ওডেস্ক থেকে টাকা আনার জন্য ভালো পদ্ধতি হল ২টা। একটা হল ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ডের(Payoneer Debit Card) মাধ্যমে। আরেকটা হল, ইন্টারন্যাশনাল অনলাইন ব্যাংক মানিবুকার্সের(Skrill) মাধ্যমে।
এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত না হয় পরেই বলা যাবে? আগে নিজে দক্ষ হয়ে কাজ করা তো শুরু করেন। সত্যিকারভাবে টাকা ইনকাম করলে সেগুলা হাতে আনা কোন ঘটনাই না।
এবার আসি, ওডেস্কে কি কি জব পোস্ট হয়। অনেক টাইপের জবই পোস্ট হয়। যেমনঃ
তাহলে আমরা দেখলাম অনেক টাইপের জবই এখানে আছে। এক নজরে গ্রাফের মাধ্যমে দেখে নেই, ওডেস্কে কি কি কাজ কি পরিমানে আছেঃ
এবার দেখে নেই সারা বিশ্ব(মূলত উন্নত দেশগুলো) থেকে কোন কাজগুলো ওডেস্কে বেশি করা হয়ঃ
এবার আরেকটি মন ভালো করার সংবাদ শুনাই। সেটি হল ২০১২ সালের র্যাঙ্কিং অনুসারে ওডেস্কে সবচেয়ে বেশি কাজ করার তালিকায় বাংলাদেশ ৩ নম্বরে।
এবার দেখে নেই ওডেস্ক থেকে এই বছরে যেই কাজগুলো করে এক্সপার্ট ফ্রীল্যান্সাররা সবচেয়ে বেশি টাকা ইনকাম করেছে তার একটি গ্রাফ:
শুধু ওয়েব ডেভালাপমেন্ট(ওয়েব প্রোগ্রামিং-২৫%, ওয়েব ডিজাইন-২০%, ওয়েবসাইট কিউএ-৭%) সেক্টরেই ৫২% ইনকাম হয়েছে, আর বাকি সব সেক্টর মিলে ৪৮% ইনকাম হয়েছে!
এই টিউনে নতুনদের সবাইকে ওডেস্ক সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারনা দিতে চেষ্টা করেছি মাত্র। এখন আপনি যদি কোন কাজ না জেনে ওডেস্কের ওয়েবসাইটে গিয়ে বসে থাকেন-তাহলে তো কোন লাভ নেই। প্রস্তুতি ছাড়া কিংবা ফিট হয়ে খেলার মাঠে না নামলে যেমন ফলাফল ভালো হয় না, তেমনি কয়েকটি বিষয়ে দক্ষ না হয়ে ওডেস্কের মত ইন্টারন্যাশনাল জব ফিল্ডে প্রবেশ করলেও আপনি কিছুই করতে পারবেন না। উল্টো হতাশ হয়ে আপনি ফিরে আসবেন। হাজার হাজার দক্ষ মানুষ ওখানে আছে। তাদের সাথে আপনাকে প্রতিযোগিতা করতে হবে। কি ভয় পেয়ে গেলেন আবার? ছোট বেলায় আমরা যখন বিশাল বড় ইংরেজি রচনা না বুঝে মুখস্ত করতে চাইতাম, তখন আমাদের কতই না কষ্ট হত। কিন্তু, বাংলা অর্থ বুঝে, গ্রামারের রুলসগুলো মাথায় রেখে একটু পড়লেই সহজে তা মুখস্ত হয়ে যেত! মোট কথা হল, আপনি যেখানে জব করবেন সেখানকার নিয়মকানুনগুলো ভালোভাবে জানা, আপনি যেই ফিল্ডে কাজ করবেন সেই ফিল্ডের টপিকগুলোর উপর ভালো দখল থাকা-ইত্যাদি কিছু কৌশল মেনে চললে যে কোন জবে আপনি সফল হবেনই।
পর্ব- ২-
অন্যতম জনপ্রিয় এবং নির্ভরযোগ্য ফ্রিল্যান্সিং সাইট হচ্ছে ওডেস্ক। ওডেস্ক এ ডাটা এন্ট্রি থেকে শুরু করে প্রোগ্রামিং সকল ধরণের কাজ করানোর জন্য রয়েছে বায়ার এবং সারা বিশ্বে রয়েছে এই সকল কাজ করার জন্য ফ্রিল্যান্সার। একজন বায়ার তার চাহিদা মত কাজ করানোর জন্য লোক খুজে থাকেন এখন একটি সাইট ডিজাইনের কাজ হতে পারে আবার তার সহকারী হিসেবেও কাজ করতে হতে পারে। এখন আপনি যদি এই সকল সাইটে নিবন্ধন করেন তাহলে আপনার যোগ্যতা অনুসারে কাজ পাবেন। আপনার দক্ষতা যোগ্যতা প্রমাণ করার জন্য পূর্বের কাজের কিছু উদাহরণ বায়ারকে প্রদর্শন করতে হবে। হাজার হাজার প্রতিযোগী রয়েছে ওডেস্কসহ বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে। এখন যোগ্য লোক খুজে পাওয়া কষ্টকর। আবার নিজের যোগ্য প্রমাণ করে বায়ারকে সন্তুষ্ট করাটাও কষ্টকর। ওডেস্ক এ নিবন্ধন করার জন্য কোন ফি লাগে না। কিন্তু যেসকল বিষয় বিশেষ ভাবে জরুরী তা হচ্ছে ১০০% প্রোফাইল কমপ্লিট করা, পোর্টফোলিও,স্কিল টেষ্ট, পেমেন্ট মেথড যুক্ত করা। ওডেস্কে কাজ পাওয়ার পর তা শেষ করে বায়ারকে সাবমিট করতে হয়। কিন্তু এই কাজটি পাওয়ার জন্য আপনাকে করতে হবে যুদ্ধ। বর্তমানে বাংলাদেশে কাজ জেনে না জেনে ওডেস্কে একাউন্ট খুলে কাজের জন্য অনেকে বিড করে যাচ্ছে। কিন্তু সঠিক দিক নির্দেশনার কারণে শূণ্য হাতেই ফিরে আসতে হচ্ছে।
ওডেস্ক এ একাউন্ট তৈরি করার পূর্বে আপনাকে একটি বিষয় অবশ্যই অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে আপনি কি কাজ পারেন। পারলে সেটি কতটুকু পারেন। সেটি দিয়ে কী একজন বায়ারকে সন্তুষ্ট করতে পারবেন? যদি মনের মাঝে জোর না পান তবে একাউন্ট এখনই খুলবেন না। কি কেন খুলবেন না! বলছি এই জন্যই আপনার একাউন্ট তৈরির তারিখ থেকেই কিন্তু সময় কাউন্ট হবে। আপনার কাজ না জানার কারণে হয়তো সহজে কাজ পাবেন না আর পেলেও বায়ার কাজে সন্তুষ্ট না হলে ফিডব্যাক খারাপ দেবে। এতে করে নিজের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু হতে হতেই শেষ হয়ে যাবে। সেই জন্য প্রথমে নিজে নিজে কিছু কাজ করুন। সেগুলোতে ভালো ফলাফল পেলে সেটা উদাহরণ হিসেবে বায়ারকে দিবেন। বায়ার ভাববে আপনি নতুন হলেও কাজ জানেন। আর একবার নিজেকে দক্ষ হিসেবে প্রমাণ করতে পারলেই আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। একজনের কাজ করেই এগিয়ে যেতে পারেন সামনের দিকে।
এখন ভাবুন আপনি কি ডাটা এন্ট্রির কাজ করবেন? নাকি ওয়েব ডিজাইনার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, এনিমেশন না এসইও এক্সপার্ট। ভাবতে থাকুন সামনের পর্বে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের বিশেষ চমক নিয়ে হাজির হব অবশ্যই সেই পর্যন্ত টেকটিউনস এর সাথেই কাটুক আপনাদের সময়।সবাইকে ধন্যবাদ।
ইত্যাদি রাখতে হয় যা দেখে বায়াররা তাদেরকে জব দিতে আগ্রহী হয়। এখন ধরেন, ওডেস্কে একজন বায়ার একটি জব পোস্ট করল যে, তাকে একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে দিতে হবে যার বাজেট ৫০০ ডলার। সে আরও বলে দিল এই কাজের জন্য আপনাকে HTML, CSS, Photoshop, WordPress, PHP এ দক্ষ হতে হবে। ধরেন, আপনি সবগুলোতেই এক্সপার্ট। তাই, আপনি এই জবে অ্যাপ্লাই করতে চান। এজন্য আপনাকে একটি কাভার লেটার লিখে সেটিসহ জবটির জন্য অ্যাপ্লাই করতে হবে। কাভার লেটারে আপনি সিমপ্লি আপনার স্কিলগুলোর কথা বলবেন যা যা চাওয়া হয়েছে।
জবটি রিলেটেড আপনার কিছু কাজের উদাহরন দেখাবেন। এখন এরকম ১টি জবে ধরেন ১৫০ জন অ্যাপ্লাই করেছে। কিন্তু, জবটি পাবে একজন। তাহলে বায়ার কাকে পছন্দ করবেন? প্রথমত, যাদের কাভার লেটার ভালো লাগবে, তাদের প্রত্যেকের প্রোফাইলেই বায়ার ভিসিট করবে। এরপর, যার প্রোফাইলে গিয়ে দেখবেন বায়াররের জব সম্পর্কিত কোন কাজ সে ওডেস্কে আগে করেছে এবং সবগুলো কাজেই তার ফিডব্যাক বেশি, তাকেই বায়ার পছন্দ করবেন। এই ফিডব্যাক জিনিসটা হল, কনট্রাক্টররা কাজ শেষ করে জমা দেবার পর বায়াররা জবটি অফিসিয়ালভাবে সমাপ্ত ঘোষণা করে এবং কাজটি কেমন হয়েছে, ঠিক সময়ে(ডেডলাইন) কাজটি শেষ হয়েছে কিনা ইত্যাদি কিছু বিষয়ের উপর ভিত্তি করে কনট্রাক্টরদের একটি ফিডব্যাক প্রদান করে(যার সর্বোচ্চ মান ৫)। যেসব কনট্রাক্টরদের প্রোফাইলে বড় বাজেটের কাজগুলোতে ফিডব্যাক বেশি থাকে(৪.৬-৫.০), সেসব কনট্রাক্টররাই বায়ারদের প্রথম পছন্দে থাকে। এখন ধরেন, আপনি ওডেস্কে নতুন যোগ দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে আপনার প্রোফাইলে তো বায়াররা ওডেস্কের কোন জব হিস্টোরি দেখবেন না। তাহলে, তারা কেন আপনাকে পছন্দ করবেন? নতুন হিসাবে বায়ারদেরকে আপনার প্রতি আকৃষ্ট করতে আপনি তাই ওডেস্কে বিভিন্ন স্কিলের উপর এক্সাম দিতে পারেন।
এগুলোতে আপনার যদি রেসাল্ট খুব ভালো থাকে(যেমন ওডেস্ক স্কিল টেস্টে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে টপ ১০%-২০%-এ আপনার অবস্থান থাকে) তাহলে বায়াররা আপনার প্রতি আগ্রহী হতে পারবে সহজেই। যেমন, আলোচ্য জব পোস্টদাতা বায়ার যদি আপনার প্রোফাইলে গিয়ে দেখে আপনার প্রোফাইলটা নতুন কিন্তু, অন্তত HTML, CSS, Photoshop, WordPress এ আপনার এক্সাম দেয়া আছে এবং প্রত্যেকটি বিষয়েই আপনার রেসাল্ট খুবই ভালো, তাহলে বায়ার বুঝবে যে, আপনি ওডেস্কে নতুন হলেও আপনি আসলে দক্ষ এবং জবটির জন্য উপযুক্ত। সেক্ষেত্রে, বায়ার আপনাকে কাজটি দিতে আগ্রহী হবে। আর পরীক্ষাগুলো নিয়ে টেনশনের কিছু নেই। পরীক্ষাগুলো আপনি বাসায় বসে অনলাইনে ওদের ওয়েবসাইটেই দিতে পারবেন এবং প্রশ্ন একটু কঠিন হলেও আপনি যদি সত্যিই দক্ষ হোন, তাহলে ওগুলায় ভালো রেসাল্ট করা কোন ব্যাপারই না আপনার জন্য।
আর আপনি যেহেতু নতুন, তাই অন্যান্য অভিজ্ঞদের চেয়ে সামান্য কমে বিড মারতে পারেন প্রথমে। যেমন, আলোচ্য ঐ কাজটিতে যদি দেখেন অ্যাভারেজ বিড হয়েছে ৪৮০ ডলারে তাহলে আপনি বিড মারতে পারেন ৪৭০ ডলারে। তবে, বাজেটের চেয়ে খুব বেশি কমে কখনোই বিড মারবেন না। এটি হিতে বিপরীতও হতে পারে। বায়াররা ভাববে, থিউরিটিকালভাবে আপনি দক্ষ হলেও প্র্যক্টিকাল কাজ সম্পর্কে আপনার কোন ধারনাই নেই এবং এজন্য কাজগুলোর বাজারমূল্য সম্পর্কেও তাই আপনার ধারনা নেই। আবার খারাপ বায়াররা আপনার এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে আপনাকে অল্প টাকায় মাত্রাতিরিক্ত কাজ করিয়ে নিবে এবং অনন্যা বায়াররা আপনার প্রোফাইলে যখন দেখবে, আপনি অনেক বড় কাজ অনেক অল্প টাকায় করেছেন, তখন আপনার কাজের মান নিয়ে তাদের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হবে। ফলশ্রুতিতে, আপনাকে সারাজীবন অল্প টাকার কাজগুলোই করে যেতে হবে!
এবার আসি ওডেস্কের জব টাইপ নিয়ে। ওডেস্কে ২ টাইপের জব পোস্ট হয়। একটি হল Fixed Job আরেকটি হল Hourly Job
Fixed Job
হল ফিক্সড বাজেটের জব। বায়ার আপনাকে হায়ার করলে অর্থাৎ জবটি দিলে আপনার সম্পূর্ণ কাজ শেষ হবার পরই বায়ার আপনাকে সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করবে। অবশ্য, এর আগে অ্যাপ্লাই করার সময় আপনি আপফ্রন্ট বা অ্যাডভান্সড পেমেন্ট চাইতে পারেন। তবে, এটি কখনোই ২০-২৫% এর বেশি চাওয়া উচিৎ না। আর আপনি নতুন হলে এটির রেঞ্জ হওয়া উচিত ১০-১৫%।Hourly Job
হল, এর নির্দিষ্ট কোন বাজেট নেই। জবটি শেষ করতে যত hour বা ঘণ্টা লাগবে, তত ঘণ্টা * আপনার Hourly Rate হবে আপনার পেমেন্ট। যেমন, ধরেন, আপনার কাজটি শেষ করতে আপনার মোট সময় লেগেছে ৩০ ঘণ্টা। এবং আপনার hourly rate $5.0 তাহলে আপনি পেমেন্ট পাবেন 30*5 = $150. এখানে পেমেন্ট পেতে হলে আপনাকে সম্পূর্ণ কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। এক সপ্তাহ শেষ হলেই সেই সপ্তাহের আপনার কাজের পরিমানের সময় অনুসারে পেমেন্ট পেয়ে যাবেন। ধরেন, আপনার বায়ার আপনাকে Hourly Limit দিয়ে দিল 15 hour(এর মানে, আপনি এক সপ্তাহে ১৫ ঘণ্টার বেশি কাজ করতে পারবেন না। এবং এর বেশি কাজ করলেও অতিরিক্ত hour এর জন্য আপনি কোন পেমেন্ট পাবেন না). তাহলে প্রথম সপ্তাহে আপনি ১৫ ঘণ্টা কাজ করলে ঐ সপ্তাহ শেষেই 15*5 = $75 পেমেন্ট আপনার প্রোফাইলে যোগ হয়ে যাবে(যদিও আপনার প্রোফাইলে টাকা আসতে একটু দেরি হবে) এবং পরের সপ্তাহে বাকি কাজ শেষ হলে ওইটুকুর জন্য বাকি পেমেন্টও পেয়ে যাবেন।সাধারনত, ওডেস্কের পেমেন্ট গ্যারান্টেড। তবে, ফিক্সড কিছু কাজে রিস্ক থাকে। hourly কাজগুলোতে আপনি পেমেন্ট পাবেন ১০০% নিশ্চিত। আর fixed কাজগুলতেও আসলে সাধারনত রিস্ক থাকে না। তবে, যেসব বায়ারের পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড না(একজন বায়ারের জবে অ্যাপ্লাই করার সময় বায়ারের পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড কিনা তা দেখা যায়, পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড হল, একজন বায়ারকে ওডেস্কে নির্দিষ্ট কিছু পরিমান ডলার আগে জমা রাখতে হয় যার মাধ্যমে সে সবাইকে বোঝাতে সক্ষম হয় যে সে ফেক কোন পার্সন নয় এবং সে সত্যিকারভাবে বিজনেস করতেই এখানে এসেছে)। যাদের পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড না, তাদের কাজ করা উচিত না কারোই। আর ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইনের বায়ারদেরও কাজ করা উচিত না কারন তারা সবসময় অল্প টাকায় অনেক কাজ করিয়ে নিতে চায় এবং তাদের প্রতি বিভিন্ন অভিযোগও অনেক বেশি।
ওডেস্কে কাজ করে ডলার তো অনেক পেলেন ভারচুয়ালি, এবার হাত দিয়ে সত্যি সত্যি ধরে দেখবেন কীভাবে ? বাংলাদেশে ওডেস্ক থেকে টাকা আনার জন্য ভালো পদ্ধতি হল ২টা। একটা হল ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ডের(Payoneer Debit Card) মাধ্যমে। আরেকটা হল, ইন্টারন্যাশনাল অনলাইন ব্যাংক মানিবুকার্সের(Skrill) মাধ্যমে।
এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত না হয় পরেই বলা যাবে? আগে নিজে দক্ষ হয়ে কাজ করা তো শুরু করেন। সত্যিকারভাবে টাকা ইনকাম করলে সেগুলা হাতে আনা কোন ঘটনাই না।
এবার আসি, ওডেস্কে কি কি জব পোস্ট হয়। অনেক টাইপের জবই পোস্ট হয়। যেমনঃ
ওয়েব ডেভালাপমেন্ট | রাইটিং এন্ড ট্র্যন্সলেসন | কাস্টমার সার্ভিস |
---|---|---|
ওয়েব ডিজাইন | ব্লগ এন্ড আর্টিকেল রাইটিং | টেকনিক্যাল সাপোর্ট |
ওয়েব প্রোগ্রামিং | টেকনিক্যাল রাইটার | ফোন সাপোর্ট |
ই-কমার্স | ক্রিয়েটিভ রাইটিং | ওর্ডার প্রসেসিং |
ওয়েবসাইট কিউএ | ||
ওয়েবসাইট প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট | ||
সফটওয়্যার ডেভালাপমেন্ট | অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সাপোর্ট | সেলস এন্ড মার্কেটিং |
ডেক্সটপ অ্যাপ্লিকেশান | ডাটা এন্ট্রি | সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন |
গেম ডেভালাপমেন্ট | পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যন্ট | সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং |
মোবাইল অ্যাপস | ওয়েব রিসার্চ | অ্যাডভার্টাইজিং |
নেটওয়ার্কিং এন্ড ইনফর্মেশন সিস্টেম | ডিজাইন এন্ড মাল্টিমিডিয়া | বিজনেস সার্ভিস |
নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেসন | গ্রাফিকস ডিজাইন | অ্যাকাউন্টিং |
ডাটাবেস অ্যাডমিনিস্ট্রেসন | লোগো ডিজাইন | প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট |
সার্ভার অ্যাডমিনিস্ট্রেসন | অ্যানিমেসন, অডিও, ভিডিও প্রোডাকসন | বিজনেস কনসাল্টিং |
এবার দেখে নেই সারা বিশ্ব(মূলত উন্নত দেশগুলো) থেকে কোন কাজগুলো ওডেস্কে বেশি করা হয়ঃ
এবার আরেকটি মন ভালো করার সংবাদ শুনাই। সেটি হল ২০১২ সালের র্যাঙ্কিং অনুসারে ওডেস্কে সবচেয়ে বেশি কাজ করার তালিকায় বাংলাদেশ ৩ নম্বরে।
সবচেয়ে বেশি কাজ করার ভিত্তিতে ক্রমানুসারে শীর্ষ ৭ টি দেশ হলঃ
- ১) ফিলিপাইন
- ২) ভারত
- ৩) বাংলাদেশ
- ৪) পাকিস্তান
- ৫) রাশিয়া
- ৬) ইউক্রেন
- ৭) ইউনাইটেড স্টেট্স
এবার দেখে নেই ওডেস্ক থেকে এই বছরে যেই কাজগুলো করে এক্সপার্ট ফ্রীল্যান্সাররা সবচেয়ে বেশি টাকা ইনকাম করেছে তার একটি গ্রাফ:
শুধু ওয়েব ডেভালাপমেন্ট(ওয়েব প্রোগ্রামিং-২৫%, ওয়েব ডিজাইন-২০%, ওয়েবসাইট কিউএ-৭%) সেক্টরেই ৫২% ইনকাম হয়েছে, আর বাকি সব সেক্টর মিলে ৪৮% ইনকাম হয়েছে!
এই টিউনে নতুনদের সবাইকে ওডেস্ক সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারনা দিতে চেষ্টা করেছি মাত্র। এখন আপনি যদি কোন কাজ না জেনে ওডেস্কের ওয়েবসাইটে গিয়ে বসে থাকেন-তাহলে তো কোন লাভ নেই। প্রস্তুতি ছাড়া কিংবা ফিট হয়ে খেলার মাঠে না নামলে যেমন ফলাফল ভালো হয় না, তেমনি কয়েকটি বিষয়ে দক্ষ না হয়ে ওডেস্কের মত ইন্টারন্যাশনাল জব ফিল্ডে প্রবেশ করলেও আপনি কিছুই করতে পারবেন না। উল্টো হতাশ হয়ে আপনি ফিরে আসবেন। হাজার হাজার দক্ষ মানুষ ওখানে আছে। তাদের সাথে আপনাকে প্রতিযোগিতা করতে হবে। কি ভয় পেয়ে গেলেন আবার? ছোট বেলায় আমরা যখন বিশাল বড় ইংরেজি রচনা না বুঝে মুখস্ত করতে চাইতাম, তখন আমাদের কতই না কষ্ট হত। কিন্তু, বাংলা অর্থ বুঝে, গ্রামারের রুলসগুলো মাথায় রেখে একটু পড়লেই সহজে তা মুখস্ত হয়ে যেত! মোট কথা হল, আপনি যেখানে জব করবেন সেখানকার নিয়মকানুনগুলো ভালোভাবে জানা, আপনি যেই ফিল্ডে কাজ করবেন সেই ফিল্ডের টপিকগুলোর উপর ভালো দখল থাকা-ইত্যাদি কিছু কৌশল মেনে চললে যে কোন জবে আপনি সফল হবেনই।
পর্ব- ২-
অন্যতম জনপ্রিয় এবং নির্ভরযোগ্য ফ্রিল্যান্সিং সাইট হচ্ছে ওডেস্ক। ওডেস্ক এ ডাটা এন্ট্রি থেকে শুরু করে প্রোগ্রামিং সকল ধরণের কাজ করানোর জন্য রয়েছে বায়ার এবং সারা বিশ্বে রয়েছে এই সকল কাজ করার জন্য ফ্রিল্যান্সার। একজন বায়ার তার চাহিদা মত কাজ করানোর জন্য লোক খুজে থাকেন এখন একটি সাইট ডিজাইনের কাজ হতে পারে আবার তার সহকারী হিসেবেও কাজ করতে হতে পারে। এখন আপনি যদি এই সকল সাইটে নিবন্ধন করেন তাহলে আপনার যোগ্যতা অনুসারে কাজ পাবেন। আপনার দক্ষতা যোগ্যতা প্রমাণ করার জন্য পূর্বের কাজের কিছু উদাহরণ বায়ারকে প্রদর্শন করতে হবে। হাজার হাজার প্রতিযোগী রয়েছে ওডেস্কসহ বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে। এখন যোগ্য লোক খুজে পাওয়া কষ্টকর। আবার নিজের যোগ্য প্রমাণ করে বায়ারকে সন্তুষ্ট করাটাও কষ্টকর। ওডেস্ক এ নিবন্ধন করার জন্য কোন ফি লাগে না। কিন্তু যেসকল বিষয় বিশেষ ভাবে জরুরী তা হচ্ছে ১০০% প্রোফাইল কমপ্লিট করা, পোর্টফোলিও,স্কিল টেষ্ট, পেমেন্ট মেথড যুক্ত করা। ওডেস্কে কাজ পাওয়ার পর তা শেষ করে বায়ারকে সাবমিট করতে হয়। কিন্তু এই কাজটি পাওয়ার জন্য আপনাকে করতে হবে যুদ্ধ। বর্তমানে বাংলাদেশে কাজ জেনে না জেনে ওডেস্কে একাউন্ট খুলে কাজের জন্য অনেকে বিড করে যাচ্ছে। কিন্তু সঠিক দিক নির্দেশনার কারণে শূণ্য হাতেই ফিরে আসতে হচ্ছে।
ওডেস্ক এ একাউন্ট তৈরি করার পূর্বে আপনাকে একটি বিষয় অবশ্যই অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে আপনি কি কাজ পারেন। পারলে সেটি কতটুকু পারেন। সেটি দিয়ে কী একজন বায়ারকে সন্তুষ্ট করতে পারবেন? যদি মনের মাঝে জোর না পান তবে একাউন্ট এখনই খুলবেন না। কি কেন খুলবেন না! বলছি এই জন্যই আপনার একাউন্ট তৈরির তারিখ থেকেই কিন্তু সময় কাউন্ট হবে। আপনার কাজ না জানার কারণে হয়তো সহজে কাজ পাবেন না আর পেলেও বায়ার কাজে সন্তুষ্ট না হলে ফিডব্যাক খারাপ দেবে। এতে করে নিজের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু হতে হতেই শেষ হয়ে যাবে। সেই জন্য প্রথমে নিজে নিজে কিছু কাজ করুন। সেগুলোতে ভালো ফলাফল পেলে সেটা উদাহরণ হিসেবে বায়ারকে দিবেন। বায়ার ভাববে আপনি নতুন হলেও কাজ জানেন। আর একবার নিজেকে দক্ষ হিসেবে প্রমাণ করতে পারলেই আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। একজনের কাজ করেই এগিয়ে যেতে পারেন সামনের দিকে।
এখন ভাবুন আপনি কি ডাটা এন্ট্রির কাজ করবেন? নাকি ওয়েব ডিজাইনার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, এনিমেশন না এসইও এক্সপার্ট। ভাবতে থাকুন সামনের পর্বে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের বিশেষ চমক নিয়ে হাজির হব অবশ্যই সেই পর্যন্ত টেকটিউনস এর সাথেই কাটুক আপনাদের সময়।সবাইকে ধন্যবাদ।