ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য কোন কাজটি শিখবেন? সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এ পোস্টটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ

ফ্রিল্যান্সিং শব্দটি ইদানীং খুব বেশি শোনা যায়। প্রচুর লেখা পড়ি এ সম্পর্কে। কেউ কেউ হতাশ।কারও কারও মনে প্রশ্ন, কোন কাজ তার জন্য উপযুক্ত। যেকোন কাজ ভাল ভাবে শিখে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। অন্যকে দেখে অনুকরণ করার দরকার নাই, নিজে কোনটি শিখতে আগ্রহবোধ করেন, কোনটি আপনার পক্ষে সম্ভব সেটা নিয়ে আত্নবিশ্বাস নিয়ে কাজ শেখা এবং কাজ করা শুরু করুন। অবশ্যই সফল হবেন। কাজ শুরু করার আগে নিচের পোস্টটি
পড়ে নিতে পারেন, সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে। যে কাজগুলোর পরিমান খুব বেশি রয়েছে, সেগুলো নিয়ে কাজ করলে প্রচুর আয় সম্ভব এবং কাজের কমতিও হবেনা কখনও।

১। ওয়েব প্রোগ্রামিং-
প্রায় সকল ফ্রিল্যান্সিং সাইটেই ওয়েব প্রোগ্রামিংএর কাজ সব চেয়ে বেশী থাকে। কাজের রেটও অনেক বেশি। একাজ করার মত দক্ষলোক কম থাকার কারনে কম্পিটিশন কম থাকে, সেজন্য কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। আর এইসব কাজের ডিমান্ডও অনেক বেশী হয়ে থাকে। আপনি যদি ওয়েব প্রোগ্রামিং জানেন তাহলে এর মাধ্যমে অনেক কাজ করতে পারবেন।
কাজের ধরণঃ web template design, joomla theme develop, joomla module develop, wordpress theme design, wordpress plugin develop, e-commerce web developed, full web site develop ইত্যাদি।

দক্ষতাঃ HTML, CSS, Javascript, Jquery, php, MySQL, wordpress, joomla

২। এস.ই.ও-
কাজের পরিমাণ এবং মানের দিক থেকে ওয়েব ডিজাইনের পর পরই রয়েছে এস.ই.ও এর কাজ। যেকোন ব্যবসা কিংবা ওয়েবসাইটের অনলাইন মার্কেটিংয়ের কাজটাই এস.ই.ও  সকল কোম্পানীর জন্য মার্কেটিং প্রয়োজন, সেটা যত বড় কোম্পানী হোক। সুতরাং বুঝতেই পারছেন কি পরিমান কাজ থাকতে পারে এ কাজের। আর যেহেতু এ কাজের জন্য টেকনিক্যাল জ্ঞান কিংবা কম্পিউটার জ্ঞান কম লাগে সেহেতু এ কাজ সবাই খুব সহজে শিখে শুরু করতে পারে।
কাজের ধরণঃ অনপেইজ এস.ই.ও, লিংক বিল্ডিং, ইমেইল মার্কেটিং, কিওয়ার্ড রিসার্চ, সোশ্যাল মিডিয়া সাবমিশন, আর্টিক্যাল সাবমিশন, অনলাইন মার্কেটিং, পুরো এস.ই.ও প্রজেক্ট
দক্ষতাঃ onpage seo, off page seo, online marketing, article writing

৩। গ্রাফিক্স ডিজাইন-
ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলাতে এর অনেক চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি ভাল গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ জানেন তাহলে অনেক আয় করতে পারবেন। আর গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের ডিমান্ডও অনেক বেশী হয়ে থাকে। ডিজাইন প্রতিযোগিতা, ডিজাইন বিক্রিসহ আরও অনেকভাবে প্রচুর আয় করা সম্ভব।
কাজের ধরণঃ লোগো ডিজাইন, বিজনেস কার্ড ডিজাইন, ব্রুশিয়ুর ডিজাইন, ওয়েবসাইট PSD ডিজাইন ইত্যাদি।
দক্ষতাঃ Photoshop, Illustrator, Indesign


৪। ব্লগ এবং আর্টিকেল রাইটিং-
শুধুমাত্র আর্টিকেল লিখে অনেক আয় করা যায়। যাদের লেখালেখির অভ্যাস আছে এবং ইংরেজীতে ভাল দক্ষতা আছে, তারা এ কাজ করে ভাল একটা আয় সম্ভব। যারা চাকুরীর পাশাপাশি অনলাইনে আয় করতে চান, তাদের জন্য এটি একটি ভাল উপায়।
কাজের ধরণঃ আর্টিকেল রাইটিং, আর্টিকেল রিরাইটিং, ট্রান্সলেট, প্রুফ রিডিং ইত্যাদি।
দক্ষতাঃ English writing skill, typing speed

৫। মোবাইল এ্যাপস ডেভেলাপঃ
বর্তমানে প্রোগ্রামিংয়ের ‍কাজের মধ্যে মোবাইল এ্যাপ তৈরীর কাজ খুব বেশী পাওয়া যায়। বর্তমানে চলছে স্মার্ট ফোনের জোয়ার। এজন্য মোবাইল এ্যাপস তৈরির প্রচুর কাজ পাওয়া যায় অনলাইনে। এসব কাজের রেট অনেক বেশি, কিন্তু প্রতিযোগি অনকে কম। এ কাজ শিখলে কমপক্ষে আগামী ১০বছর প্রচুর আয় করতে পারবেন নিশ্চিন্তে।
কাজের ধরণঃ মোবাইল গেমস ডেভেলাপ, এপ্লিকেশন তৈরি।
দক্ষতাঃ Java programming, Android application,

তাছাড়াও আরো অনেক ধরণের কাজ রয়েছে। আপনি যদি সত্যিই কাজ জানেন তাহলে অনেক কাজ করতে পারবেন। তবে একটি কথা বলি, ভালভাবে কাজ না জেনে কোন কাজ শুরু করলে ফল খুব ভাল হবেনা।  তাই কাজ করার আগে কাজ শিখুন। যেকোন একটি বিষয়ই ভালভাবে শিখলেই হবে।
আমি আমার স্বল্প জ্ঞান দিয়ে লিখলাম, জানিনা কেমন হয়েছে। আউটসোর্সিং নিয়ে যেকোন সেমিনার কিংবা ওয়ার্কশপে আমি উপস্থিত থাকার চেষ্টা করি। অনেক কিছু জানা যায়। আগামী ১৪জুন বড় একটা আউটসোর্সিং সেমিনার হবে ধানমন্ডিতে। সেটাতেও আমি যাব ইনশাল্লাহ। দেখি নতুন কিছু শেখা যায় কিনা।
Previous Post
Next Post

post written by: