ল্যাপটপ ব্যবহারের ২৬ টি কার্যকারী টিপস



বর্তমানে বাংলাদেশে এখন ল্যাপটপের ব্যাপক চাহিদা। বিভিন্ন সুবিধার কারনে অনেকেই এখন ডেস্কটপ এর পরিবর্তে ল্যাপটপ ব্যাবহার করছে। যদিও প্রোফেশনাল কাজের জন্য ডেস্কটপই উপযুক্ত। তবে যারা শখের বশে কম্পিউটার ব্যবহার করেন, তাদের ল্যাপটপ কেনাই উচিত। ল্যাপটপ সাধারনত দুই ধরনের হয়ে থাকে- নেটবুক, নোটবুক। যারা হাল্কা কাজ বা অনলাইনে কাজ করে থাকেন তারা সাধারনত নেটবুক ব্যাবহার করে থাকেন।  আর অপেক্ষাকৃত ভারী কাজ ও হাই গ্রাফিক্স এর গেমিং এর জন্য অনেকে নোটবুক কিনে থাকেন। শুধু ল্যাপটপ কিনে ব্যাবহার করলেই চলবে না। ব্যাবহার এর সাথে সাথে নিয়মিতভাবে এর যত্নও নিতে হবে। আপনার ল্যাপটপটি যাতে দীর্ঘদিন ঠিকভাবে সার্ভিস দিতে পারে সে জন্য কিছু টিপস মেনে চলা উচিত। এতে করে ল্যাপটপের পারফরমেন্স ভাল থাকবে।
http://i.i.cbsi.com/cnwk.1d/i/tim/2013/01/04/Lenovo_Yoga_13_flipping.jpg
ল্যাপটপ ব্যবহারের টিপসঃ
  • ব্যাটারি দিয়ে ল্যাপটপ চালানো না লাগলেও ২/৩ সপ্তাহে মাঝে মাঝে ব্যাটারি থেকে চালাতে হবে, নতুবা ব্যাটারি আয়ু কমে যাবে।
  • ব্যাটারিতে ল্যাপটপ চালানোর সময় স্ক্রিনের ব্রাইটনেস কমিয়ে দিন।
  • মাঝে মাঝে ব্যাটারির কানেক্টর লাইন পরিষ্কার করুন।
  • ভালো মানের এন্টিভাইরাস ব্যবহার করুন।
  • দরকারি ছাড়া অন্য উইন্ডোগুলো মিনিমাইজ করে রাখুন।
  • হার্ডডিস্ক থেকে মুভি-গান প্লে করুন, কারণ সিডি/ডিভিডি র‌্যাম অনেক বেশি পাওয়ার নেয়।
  • এয়ার ভেন্টের পথ খোলা রাখুন ও সহজে বাতাস চলাচল করে এমনভাবে ল্যাপটপ রাখুন, সরাসরি সূর্যের আলোতে রাখবেন না।
  • শাট ডাউনের পরিবর্তে হাইবারনেট অপশন ইউজ করুন।
  • ব্লু-টুথ ও ওয়াই-ফাই কানেকশন বন্ধ রাখুন।
  • হার্ডডিস্ক ও সিপিইউ-এর মেইনটেন্যান্সে কোনো কাজ করবেন না।
  • অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রামগুলো বন্ধ করুন।
  • মাঝে মাঝে মেমোরি ক্লিনের জন্য Ram Cleaner, Ram Optimi“er, Mem Monster, Free Up Ram, Super Ram নিয়মমাফিক ডিফ্রাগমেন্ট করুন।
  • আপাতত দরকার নেই এমন প্রোগ্রাম আনইনস্টল করুন।
http://cdn1.mos.techradar.futurecdn.net//art/laptops/Sony/Sony%20Vaio%20Duo%2011/Sony%20Vaio%20Duo%2011%20front-580-100.jpg
  • ল্যাপটপ এর উপর ময়লা পরলে তা পরিষ্কার করা যেই কাজটা আমরা অনেকেই করি না। আর অবশ্যই সঠিক পরিস্কারক দ্রব্য ব্যবহার করা উচিত।
  • ল্যাপটপের কি বোর্ড ও মাউস এর পরিবর্তে এক্সটারনাল কি বোর্ড ও মাউস ব্যবহার করা। এতে করে ল্যাপটপের কিবোর্ড এবং মাউস প্যাড ভাল থাকবে দীর্ঘ দিন।
  •  ল্যাপটপে বেশি গ্রাফিক্সের গেমস না খেলা, এতে করে ল্যাপটপ খুবই উত্তপ্ত হয়ে যায় যা ভেতরের অন্যান্য যন্ত্রপাতির জন্য ক্ষতিকারক।
  •  ল্যাপটপে যথা সম্ভব ছোট সাইজের সফটওয়্যার ব্যবহার করা উচিত।
  • ল্যাপটপ য়থা সম্ভব কম সময়ের জন্য চালানো উচিৎ।
  • সরাসরি তাপ থেকে ল্যাপটপ দূরে রাখা উচিত।
  • ল্যাপটপ বেশিক্ষণ কোলের ওপর রেখে ব্যবহার করা উচিত নয়। কিছুদিন আগে একদল গবেষক ল্যাপটপ ব্যবহারকারীর মাঝে এক জরিপ চালিয়ে দেখেছেন, যারা কোলের ওপর রেখে অনেকক্ষণ ল্যাপটপ ব্যবহার করেন তাদের প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। 
http://news.cnet.com/i/bto/20080806/Apple_MacBook_black_540x320.jpg
  •  ল্যাপটপে বিল্ট-ইন কিছু ডিভাইস আছে যেমন : ব্লু-টুথ, ওয়াই-ফাই, ইনফ্রারেড ইত্যাদি। প্রয়োজন না থাকলে ল্যাপটপ ব্যবহারের সময় এসব ডিভাইস বন্ধ করে রাখুন। এতে ব্যাটারির শক্তি খরচ কম হবে। 
  • ল্যাপটপ বহনে ল্যাপটপের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করুন। এসব ব্যাগ ল্যাপটপকে বাইরের আঘাত থেকে রক্ষা করতে পারে। এছাড়া ভ্রমণে ল্যাপটপ বহন করার জন্য কাঁধে ঝুলানোর সুবিধাযুক্ত ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে বহনে সুবিধার পাশাপাশি আরেকটি সুবিধা হলো, বাইরে থেকে বোঝাই যাবে না যে আপনি ল্যাপটপ বহন করছেন। তাই ছিনতাইকারীর দৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে পারেন। 
  • ল্যাপটপে গেম খেলা বা কোনো কিছু টাইপ করার জন্য এক্সটার্নাল কি-বোর্ড এবং মাউস ব্যবহার করুন। কারণ, এসব ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহারে ল্যাপটপের টাচ প্যাড এবং কি-বোর্ডের আয়ু কমে যেতে পারে। 
  • ঘরে বা বাইরে বিদ্যুত্ ব্যবহারের সুবিধা আছে এমন স্থানে সরাসরি বিদ্যুত্ ব্যবহারের মাধ্যমে ল্যাপটপ চালান। ল্যাপটপের ব্যাটারির একটি নির্দিষ্ট আয়ু আছে। একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক বার চার্জ হওয়ার পর এই ব্যাটারিটি নষ্ট অর্থাত্ ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যায়।
  • ল্যাপটপের এয়ার ভেন্টটি নিয়মিত পরিষ্কার করুন। কারণ এয়ার ভেন্ট বন্ধ হয়ে গেলে প্রচুর তাপ উত্পন্ন হবে, যা ল্যাপটপের জন্য ক্ষতিকর। খাবার ও পানীয় থেকে ল্যাপটপ দূরে রাখুন। না হলে অসাবধানতাবশত ল্যাপটপের ওপর পানি পড়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। 
  • ল্যাপটপ ডেস্কটপের মতো একটানা ব্যবহার করা ঠিক নয়। বেশ কয়েক ঘণ্টা ব্যবহার করার পর ল্যাপটপ কিছু সময় বন্ধ রাখা উচিত। আপনার চোখের সুবিধার জন্য স্ক্রিনের লাইট আপনার চোখের সঙ্গে মানানসই করে রাখুন। মনে রাখবেন, এমন হাই কালার দিয়ে রাখবেন না যেটি আপনার চোখের সহ্যের বাইরে। প্রয়োজনে ঋষীঁ নামের একটি জনপ্রিয় সফটওয়্যার দিয়ে এ কাজটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে করতে পারেন। 
http://studentratetrends.com/wp-content/uploads/2013/07/computer1.jpg
Previous Post
Next Post

post written by: