চলচ্চিত্র
নির্মাতা হিসেবে সত্যজিৎ ছিলেন বহুমুখী এবং তাঁর কাজের পরিমাণ বিপুল। তিনি
৩৭টি পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র, প্রামাণ্যচিত্র ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
নির্মাণ করেন। তাঁর নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র পথের পাঁচালী ১১টি আন্তর্জাতিক
পুরস্কার লাভ করে, যাদের মধ্যে অন্যতম ছিল কান চলচ্চিত্র উৎসবে পাওয়া
“শ্রেষ্ঠ মানব দলিল” (Best
Human Document) পুরস্কারটি। পথের পাঁচালি,
অপরাজিত ও অপুর সংসার – এই তিনটি চলচ্চিত্রকে একত্রে অপু ত্রয়ী বলা হয়,
এবং এই চলচ্চিত্র-ত্রয়ী তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ কাজ বা ম্যাগনাম ওপাস হিসেবে
বহুল স্বীকৃত। চলচ্চিত্র মাধ্যমে সত্যজিৎ চিত্রনাট্য রচনা, চরিত্রায়ন,
সঙ্গীত স্বরলিপি রচনা, চিত্র গ্রহণ, শিল্প নির্দেশনা, সম্পাদনা,
শিল্পী-কুশলীদের নামের তালিকা ও প্রচারণাপত্র নকশা করাসহ নানা কাজ করেছেন।
চলচ্চিত্র নির্মাণের বাইরে তিনি ছিলেন একাধারে কল্পকাহিনী লেখক, প্রকাশক,
চিত্রকর, গ্রাফিক নকশাবিদ ও চলচ্চিত্র সমালোচক। বর্ণময় কর্মজীবনে তিনি বহু
পুরস্কার পেয়েছেন। তবে এগুলির মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হল ১৯৯১ সালে পাওয়া
একাডেমি সম্মানসূচক পুরস্কারটি (অস্কার), যা তিনি সমগ্র
।কর্মজীবনেরস্বীকৃতি হিসেবে অর্জন করেনহীরক রাজার দেশে বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায় পরিচালিত একটি জনপ্রিয় চলচ্চিত্র। রুপকের আশ্রয় নিয়ে চলচ্চিত্রটিতে কিছু ধ্রুব সত্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এটি গুপী গাইন বাঘা বাইন সিরিজের একটি চলচ্চিত্র। এর একটি বিশেষ দিক হচ্ছে মূল শিল্পীদের সকল সংলাপ ছড়ার আকারে করা হয়েছে। তবে কেবল একটি চরিত্র ছড়ার ভাষায় কথা বলেননি। তিনি হলেন শিক্ষক। এ দ্বারা বোঝানো হয়েছে একমাত্র শিক্ষক মুক্ত চিন্তার অধিকারী, বাদবাকি সবার চিন্তাই নির্দিষ্ট পরিসরে আবদ্ধ।
‘হীরক রাজার দেশে’ আমার জীবনে দেখা সেরা সিনেমাগুলোর মধ্যে অন্যতম।
সবচেয়ে বেশি জটিল লাগতো এই কথাটি
দড়ি ধরে মারো টান
রাজা হবে খান খান


বাউলের সেই গানটা অনেক খুঁজে আজ পেলাম, কয়েকবার শুনলাম, লিখলাম, গানটাও শেয়ার করলাম ————————————————————————-
কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়
ও ভাইরে ও ভাই
কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়
ও ভাইরে ও ভাই
কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়
আমি যেই দিকেতে চাই
দেখে অবাক বনে যাই
আমি অর্থ কোন খুঁজে নাহি পাই রে
ও ভাই অর্থ কোন খুঁজে নাহি পাই রে
ভাইরে ভাইরে
আমি কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়
দেখে অবাক বনে যাই
আমি অর্থ কোন খুঁজে নাহি পাই রে
ও ভাই অর্থ কোন খুঁজে নাহি পাই রে
ভাইরে ভাইরে
আমি কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়
দেখ ভাল জনে রইলো ভাঙ্গা ঘরে
মন্দ যে সে সিংহাসনে চড়ে
ও ভাই সোনার ফসল ফলায় যে তার
দুই বেলা জোটে না আহার
হিরার খনির মজুর হয়ে কানাকড়ি নাই
ও ভাই হিরার খনির মজুর হয়ে কানাকড়ি নাই
ও তার কানাকড়ি নাই
ওরে ভাইরে ভাইরে
কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়
মন্দ যে সে সিংহাসনে চড়ে
ও ভাই সোনার ফসল ফলায় যে তার
দুই বেলা জোটে না আহার
হিরার খনির মজুর হয়ে কানাকড়ি নাই
ও ভাই হিরার খনির মজুর হয়ে কানাকড়ি নাই
ও তার কানাকড়ি নাই
ওরে ভাইরে ভাইরে
কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়